হামাস নেতাদের ওপর ইসরাইলি হামলার বিরোধীতা করেছে মোসাদ

কাতারের দোহায় হামাসের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের হত্যার সরকারি ষড়যন্ত্রের বিরোধিতা করেছিল ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মোসাদ গুপ্তচর সংস্থার প্রধান ডেভিড বার্নিয়া দোহায় হামাসের নেতাদের হত্যার জন্য পরিকল্পিত স্থল অভিযান পরিচালনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত দুই ইসরাইলি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, মোসাদ প্রধান বার্নিয়া দোহায় হামাস নেতাদের হত্যার জন্য অভিযান চালানোর বিরোধিতা করেন।
তারা বলেন, বার্নিয়া আপত্তি করেছিলেন এই ভেবে যে, এই ধরনের অভিযান কাতারি কর্মকর্তাদের সাথে মোসাদের সম্পর্ককে খারাপ করবে। যারা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি আলোচনায় কেন্দ্রীয় মধ্যস্থতাকারী ছিলেন।
ইসরাইলি একটি সূত্র বলছে, 'এবার, মোসাদ স্থলভাগে এই হামলা চালাতে অনিচ্ছুক ছিল। সংস্থাটি কাতারকে হামাসের সাথে আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেখে।'
দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা হামাসের সকল নেতাকে খুঁজে বের করে হত্যা করার বিষয়ে একমত, তবে অনেকেই এই সপ্তাহের অভিযানের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্য একটি ইসরাইলি সূত্র ওয়াশিংটন পোস্টকে জানায়, 'আমরা এক, দুই, অথবা চার বছরের মধ্যে তাদের ধরতে পারব। মোসাদ জানে কিভাবে এটা করতে হবে। এখন কেন তারা এটা করবে।'
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, মোসাদ হামলা চালাতে রাজি না হওয়ায় ইসরাইলের হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না।
মঙ্গলবার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার দোহায় হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার লক্ষ্যে ১৫টি যুদ্ধবিমান থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তারা সে সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
ওই হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতারা বেঁচে যান। কিন্তু হামাসের পাঁচ সদস্য এবং কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের বিমান হামলায় এর ভারপ্রাপ্ত নেতা খলিল আল-হাইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হত্যা করা সম্ভব হয়নি। এর পরিবর্তে তাদের প্রতিনিধিদলের বেশ কয়েকজন আত্মীয়স্বজন এবং সহযোগীদের পাশাপাশি একজন কাতারি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
Comments