সাংবাদিককে একসঙ্গে সুরক্ষা ও কল্যাণ কাঠামোর আওতায় আনা কঠিন: তথ্য উপদেষ্টা

সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে বিভিন্ন কাঠামো, আইন, বিধি ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, 'দেশের সব সাংবাদিককে একসঙ্গে এই সুরক্ষা ও কল্যাণ কাঠামোর আওতায় আনা কঠিন কাজ। এটা ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোরও সহযোগিতা প্রয়োজন। কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়, পেশাদার সহযোগিতার ভিত্তিতেই সাংবাদিকদের জন্য একটি শক্তিশালী কল্যাণ কাঠামো গড়ে উঠতে পারে।'
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত গ্রুপ বীমা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা জানান, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি তিন মাস অন্তর অনেক সাংবাদিক এর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। এছাড়া সাংবাদিক সন্তানদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক কল্যাণ ট্রাস্টের কাজের পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা শহরে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি। কিন্তু অনেক সাংবাদিক কম বেতনে জীবনযাপন করতে বাধ্য হন। এতে করে অনেকে অনারবেল বা অস্বচ্ছ পথে যেতে পারেন। তাই সাংবাদিকদের জন্য সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করা জরুরি।'
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, 'সাংবাদিকদের জন্য একটি সাংবাদিক সুরক্ষা আইন এবং নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। তবে এটি অনেক জটিল প্রক্রিয়া, যেখানে একাধিক মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত। বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, আর যদি সবকিছু শেষ করা সম্ভব না হয়, পরবর্তী সরকার নিশ্চয়ই প্রক্রিয়াটা এগিয়ে নেবে।'
সবশেষে তিনি বলেন, 'আমাদের চেষ্টা থাকবে সাংবাদিকদের মর্যাদার সাথে টিকে থাকার পরিবেশ তৈরি করা। যাতে তারা পরিবার ও পেশাগত জীবনে নিরাপদ ও সম্মানজনক জীবনযাপন করতে পারেন।'
এ সময় তথ্য উপদেষ্টা ডিআইউ সদস্যদের জন্য ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসি'র সঙ্গে ডিআরইউ'র এ গ্রুপ বীমা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ, ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজিম উদ্দিন, ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।
Comments