ঢাকা মেডিকেলের বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী হোস্টেল ছাড়েনি

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে অচলাবস্থার নিরসন হয়নি। এদিকে গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রী যায়নি। শিক্ষকরা হোস্টেলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মানার জন্য বলেছেন। এ সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে হোস্টেল ত্যাগ করতে দেখা গেছে। অনেকে হোস্টেল ত্যাগ করেন। তবে পরিত্যক্ত ভবনের প্রায় কয়েক জন ছাড়া বাকি সবাই চলে গেছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। নিরাপদ আবাসনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায় না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানায়।
এদিকে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত যারা না মানবে পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিল তাদের বিষয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি কর্তৃপক্ষ সহানুভূতি থাকবে। তাদের দাবির প্রতি কর্তৃপক্ষ দ্বিমত পোষণ করেননি। তবে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে সময় দিতে হবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, হোস্টেল ও একাডেমিক ভবনসহ আরো কয়েকটি ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনগুলো যেন মৃত্যুর ফাদ। গণপূর্ত বিভাগ ফজলে রাব্বি হলকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সেখানে বসবাস করে। এমন পরিস্থিতি যে, জগন্নাথ হল ও সাভার রানা প্লাজার মতো ট্র্যাজেডি ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। স্বাস্থ্য প্রশাসন দ্রুত নিরাপদ আবাসনসহ পাঁচ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা হোস্টেল ত্যাগ করবে না। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম সরেজমিনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, হোস্টেল ভবন পরিদর্শন করার আহ্বান জানান ছাত্র-ছাত্রীরা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম বলেন, নতুন ব্যাচসহ ছয়টি ব্যাচে ৭৫৫ জন ছাত্র-ছাত্রী। পরিত্যক্ত ভবন বাদ দিলেও নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব থাকলে উত্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হোস্টেলে সিটের কোনো ঘাটতি নাই। শুধু নিজেদের মধ্যে সহানুভূতির অভাব। আমরা শিক্ষকরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাব। পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিল পরিস্থিতি দেখে ব্যবস্থা নেবেন।
Comments