ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধসিয়ে দেওয়ার দাবি ইসরায়েলের, জাতিসংঘের ভিন্নমত

ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ইসরায়েল ও জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার মূল্যায়নে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েল দাবি করছে, তারা নাতানজ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। কিন্তু জাতিসংঘের সংস্থা আইএইএ বলছে, ক্ষয়ক্ষতি সামান্য।
আজ সোমবার একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পরস্পরবিরোধী মূল্যায়ন দিয়েছে। নাতানজ ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, ইরানের নাতানজ স্থাপনার ভূগর্ভস্থ অংশে ধসে পড়ার 'আলামত' রয়েছে।
২০০৩ সালের ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই স্থাপনার দুটি বৃহৎ ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য সেন্ট্রিফিউজ রয়েছে। গত শুক্রবার ইসরায়েল যখন ইরানে হামলা চালায়, তখন অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে এই স্থাপনাও ছিল।
তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) গত শুক্রবার বলেছিল, স্থাপনাটিতে শুধু ভূপৃষ্ঠ স্তরের ক্ষতি হয়েছে। আজ হালনাগাদ তথ্যে আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, প্রাথমিক হামলার পর থেকে প্ল্যান্টে 'কোনো অতিরিক্ত ক্ষতি' হয়নি। ভূগর্ভস্থ ক্যাসকেড হলে হামলার 'কোনো ইঙ্গিত' নেই।
গ্রোসি বলেন, তবে ক্যাসকেড হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের কারণে সেখানে থাকা সেন্ট্রিফিউজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে।
Comments