নারীকে লাথি মেরে বহিষ্কৃত জামায়াত কর্মী গ্রেফতার

চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে নারীকে লাথি মারার ঘটনায় বহিষ্কৃত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (০১ জুন) বিকালে নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, 'গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আকাশ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।'
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পাওয়ার প্রতিবাদে গত বুধবার বিকালে কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। কর্মসূচি শুরুর পরপর সেখানে মিছিল নিয়ে আসে 'শাহবাগবিরোধী ঐক্য'। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় শাহবাগবিরোধী ঐক্যের লোকজন ছাত্র জোটের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে ১৫ জন আহত হন।
পুলিশ জানায়, হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে ওবাইদুর ও সেলিমকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে আটক দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করে। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক, ত্রাস ও রাস্তায় যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।
এরই মধ্যে হামলার ঘটনার ভিডিও ফেসবুক ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে এক নারীসহ দুজনকে পেছন থেকে লাথি মারতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। যে ব্যক্তিকে লাথি মারতে দেখা গেছে, তার নাম আকাশ চৌধুরী।
ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পর প্রেসক্লাবের পাশে একটি ভবনের নিচে আশ্রয় নেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা। সেখানে একজন পুলিশ সদস্যকেও দেখা গেছে। ওই ব্যক্তি পুলিশের চোখ এড়িয়ে নেতাকর্মীদের পেছনে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে হঠাৎ একজনকে লাথি মারেন তিনি। এরপর ঘুরে আবার আরেক নারীকে লাথি মারেন। গত ৩০ মে রাতে মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নারীকে লাথি মারার ঘটনায় আকাশ চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়।
Comments