শপথ আয়োজন না করলে আজ থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ইশরাকের

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে তার শপথগ্রহণের ব্যবস্থা না করে অন্তর্বর্তী সরকার 'আদালত অবমাননা' করছে। তিনি বলেন, শপথ পড়ানোর শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, না হলে শুক্রবার থেকে কঠোর আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার নগর ভবনের সামনে সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে ইশরাক এ কথা বলেন। ইশরাক বলেন, আমরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আদালতের রায় পাওয়ার পরও সরকারের কিছু উপদেষ্টা আমার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ। অবিলম্বে রায় বাস্তবায়ন করে আমাকে শপথ পড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার একজন মেয়রকে শপথ করাতে পারছে না, তাহলে ৩০০ এমপিকে কীভাবে শপথ করাবে, এ নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠেছে।
২৭ মার্চ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও ঢাকা প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে রায় দেয়। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু এখনো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তার শপথগ্রহণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বৃহস্পতিবার ইশরাকের শপথ ঠেকাতে করা রিট খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যেই ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে 'ঢাকাবাসী' ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। টানা ১৫ দিনের মতো একই দাবিতে নগর ভবনের সামনে অবস্থান করছেন তারা। ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নগর ভবনের সামনে জমায়েত হতে থাকেন ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনে এসে জড়ো হতে থাকেন। পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে ইশরাক হোসেনের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
'অবিলম্বে ইশরাক হোসেনকে শপথ দাও, দিতে হবে' 'শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না চলবে না' 'এক দুই তিন চার, আসিফ তুই গদি ছাড়' 'আসিফের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও' আন্দোলনকারীরা ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন নগর ভবন এলাকায়।
নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৪ দিন ধরে ভবনের প্রতিটি গেট তালাবদ্ধ করে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, ইশরাককে দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত কোনো সরকারি কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। ওয়ারীর বাসিন্দা হাজি আনোয়ার বলেন, আমরা ভোট দিয়েছি, আদালতের রায় এনেছি। এখনো শপথ নিতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। আমরা তামাশা হতে দেব না। নগর ভবনের কর্মচারী মোহন বলেন, ইশরাককে দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত একটা পাতাও নড়বে না।
Comments