রেকর্ড বইয়ে বুমরাহর নাম

দেশ ছাড়ার আগেই ভারত ঘোষণা দিয়ে যায় জাসপ্রিত বুমরাহ ইংল্যান্ডে সবগুলো টেস্টে খেলতে পারবেন না। সময়ের সেরা পেসার হেডিংলি টেস্টে খেললেও পরের টেস্টে বেঞ্চে বসেছিলেন। এজবাস্টনে টিম ইন্ডিয়া তাকে বিশ্রাম দেয়।
লর্ডসকে ক্রিকেটতীর্থই মনে করা হয়। সেখানে খেলার জন্যই কি বুমরাহ এজবাস্টনে বিশ্রাম নিয়েছিলেন? ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইনের তেমনতর ধারাণাই। ধারাভাষ্যকক্ষে বসে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, 'সে লর্ডসে খেলতে চেয়েছিল, চেয়েছিল অনার্স বোর্ডে নাম তুলতে।'
লর্ডসের কর্মকর্তারা অনার্স বোর্ডে নাম তুলে কেউ ১০০+ রান করলে বা ৫+ উইকেট নিলে। বুমরাহরও নামও উঠেছে। জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস ও জফরা আর্চারের উইকেট নিয়েছেন তিনি। অধিকন্তু তার নাম উঠে গেছে ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ে।
ভারতের হয়ে খেলে গেছেন অনিল কুম্বলে, কপিল দেব, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো গ্রেটরা। টেস্টে বিদেশের মাটিতে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফাইফার (১২) কপিল দেবের। আজকের আগে বুমরাহ তার পাশেই বসে ছিলেন, লর্ডস টেস্ট দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন। অ্যাওয়ে টেস্টে তার ১৩টি ফাইফারই এখন ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। কুম্বলের ফাইফারসংখ্যা ১০।
বিদেশে ১২ ইনিংসে ৫ উইকেট নিতে কপিল দেবের লেগেছিল ১০৮ ইনিংস। ১০ ফাইফারে কুম্বলের ১২১ ও ৯ ফাইফারে ইশান্ত শর্মার ১০৯ ইনিংস লাগে। বুমরাহ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন অনেকগুলো কম ইনিংস খেলে। ১৩ ইনিংসে ৫টি করে উইকেট নিতে বিদেশে তিনি খেলেছেন মাত্র ৬৪ ইনিংস।
বুমরাহর তোপেই ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ৩৮৭ রানে। এরইমধ্যেও সেঞ্চুরি তুলে নেন রুট। ১৯২ বলে শতক করা রুটকে বুমরাহ আউট করেন ১০৪-এ। এটা রুটের ক্যারিয়ারে ৩৭তম টেস্ট শতক। সেঞ্চুরির হিসাবে তার সামনে এখন মাত্র চারটি নাম—শচীন টেন্ডুলকার (৫১), জ্যাক ক্যালিস (৪৫), রিকি পন্টিং (৪১) ও কুমার সাঙ্গাকারা (৩৮)।
Comments