আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের স্থায়ী অস্থায়ী কর্মকর্তাদের চাকুরিচ্যুতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শনিবার ২ আগষ্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৫৪৭ জন স্থায়ী অস্থায়ী কর্মকর্তাকে আইন বহির্ভূত ও অমানবিক ভাবে চাকুরিচ্যুত করার প্রতিবাদে এবং সবাইকে চাকরি পুর্নবহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৬৪ জেলার বিভিন্ন শাখায় কর্মরত ছিলাম। গত ২০ জুলাই ২০২৫ তারিখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সারাদেশের বিভিন্ন শাখা থেকে আমাদের ৫৪৭ জন কর্মকর্তাকে অফিসিয়াল ইমেইলে একটা পত্র দিয়ে একসাথে চাকরিচ্যুত করেছে। আমাদের বেশিরভাগ কর্মকর্তার চাকরির বয়স ৩ থেকে ৪ বছর। চাকরিকালীন আমাদের উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে যথাযথভাবে পালন করে এসেছি। এই সময়ে ব্যক্তিগত আচরণ, দায়িত্ব বা কর্তব্যে অবহেলা ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের বিরুদ্ধে লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ নেই। শাখা বাবস্থাপকরাও আমাদের কাজে খুশি ছিলেন। চাকরিচ্যুতির জন্য আদৌ কোন যৌক্তিক কারণ না থাকার পরও, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা অজুহাতে আমাদের অপসারণ করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমাদের মূল্যায়ন টেস্টকে (Assessment Test) চাকরিচ্যুতির কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে এবং আমাদের পদের বিপরীতে নতুন নিয়োগের অশুভ প্রচেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং ০৪ এর ৩.৬ ক্রমিকে নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে, 'শুধুমাত্র নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারা বা অদক্ষতার অজুহাতে ব্যাংক-কোম্পানির কর্মকর্তাগণকে প্রাপ্য পদোন্নতি হতে বঞ্চিত করা যাবে না। অনুরূপ অজুহাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না, অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোন অভিযোগ না থাকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে চাকরিচ্যুত করা বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবেনা"। আমাদের অপসারণ উপর্যুক্ত প্রবিধি ও নীতি অনুসারে সম্পূর্ণ বেআইনী এবং এই চাকরিচ্যুতির ফলে আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে চরম আর্থিক সংকট ও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। অধিকন্তু আমাদের অনেকেরই চাকরির বয়সসীমা অতিক্রম করায় বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। যার ফলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে ইতোমধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছেপুনর্বহালসহ নিম্নোক্ত ৭ দফা দাবি পেশ করছি।
৭ দফা দাবিসমূহ:
১। সকল চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের তাদের স্বপদে এরস্বশাখায় বহাল করতে হবে।
২। সকলের ইনক্রিমেন্ট বহাল রাখতে হবে।
৩। প্রবেশন পিরিয়ডে চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে যথাসময়ে কনফার্মেশন করতে হবে।
৪। চাকরিচ্যুত করার উদ্দেশ্যে কোন পরীক্ষা নেয়া যাবে না।
৫। সবাইকে যথাসময়ে প্রমোশনের জন্য তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৬। সবাইকে অতীতের মত সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে।
৭। ভবিষ্যতে কর্মকর্তাদের অযথা হয়রানি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শফিকুল ইসলাম, আরিফা খাতুন,মো: ফরহাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মো: তারেক হোসেনসহ অন্য চাকুরিচ্যুত কর্মকর্তারা।
Comments