নেপালকে হারিয়ে আবারও সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত আসরে ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলার মেয়েরা। এবারের সাফে ফের নেপালকে পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফাইনালে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে একাধিক সুযোগ নষ্ট করার গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় দু'দল। বিরতি থেকে ফিরে মনিকার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর দ্রুতই স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান আমিশা কার্কি। তবে ঋতুপর্না চাকমার অসাধারণ এক গোলে ফের এগিয়ে গেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধরা।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের ভালো সুযোগ পায় বাংলাদেশ। নেপালের ডিফেন্ডারে ভুলে তহুরার শট ফিরে আসে সাইড পোস্টে লেগে। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দু'দল। ম্যাচের ১০ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় নেপাল। ডি বক্সের বাইরে থেকে আমিশা কার্কির নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। বেঁচে যায় বাংলাদেশ।
এরপর দুই দলই চেষ্টা করে মিডফিল্ড দখল নিয়ে আক্রমণ যাওয়ার। তবে ভুল পাসের কারণে বল হারায় দু'দল। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ডান পাশে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। তবে মারিয়া মান্দার নেওয়া শট চলে যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে।
ম্যাচের ৪১ মিনিটে কর্নার পায় বাংলাদেশ। সাবিনা খাতুনের নেওয়া শট থেকে সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শেষ পর্যন্ত কোন গোলে না হলে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় দু'দল।
বিরতি থেকে ফিরে ৫২ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দারুণ এক আক্রমণে নেপালের রক্ষণবহ্যু ভেদ করে বাংলাদেশ এগিয়ে দেন মনিকা চাকমা। তবে এর ৩ মিনিটের মধ্যেই সমতায় ফিরে নেপাল। বাংলাদেশের ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান আমিশা।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক শট নেন মারিয়া মান্দা। তবে দুর্দান্ত দক্ষতায় একহাতে দারুণ সেভ করেন নেপালের গোলরক্ষক আঞ্জিলা। সেখান থেকে পাওয়া কর্নারও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ম্যাচের ৮১ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় বাংলার মেয়েরা। বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ এক শটে নেপালি গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান ঋতুপর্না চাকমা।
গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে নেপাল। তবে শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ২-১ গোলের জয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই নিয়ে সাফে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো সাবিনা খাতুনের দল।