গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা প্রায় সম্পন্ন
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি আলোচনা এরইমধ্যে ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। যদিও কিছু মূল বিষয়ে আলোচনা এখনও বাকি আছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) যুদ্ধবিরতির আলোচনার সঙ্গে জড়িত একজন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিশরের সীমান্ত বরাবর দক্ষিণ গাজার কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ড ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরাইলি সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত রাখা অন্যতম প্রধান সমস্যা। ওই কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজার সঙ্গে ইসরাইলের সীমান্তে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় একটি বাফার জোন তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। ইসরাইল এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে।
এসব বিষয় সমাধান হলেই তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কয়েকদিনের মধ্যে হতে পারে। এই চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে একজন ইসরাইল নারী সেনার বিনিময়ে ২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে। তবে কারা মুক্তি পাবে সে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, যারা ইসরাইলের কারাগারে ২৫ বছরের বেশি কারাদণ্ড ভোগ করেছে তাদের মধ্যে ৪০০ জন মুক্তি পাবে।
বিবিসি বলেছে, ইসরাইলি জিম্মিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেয়া হবে। কারণ ধারণা করা হয়, হামাসের এখনও নিখোঁজ জিম্মিদের কয়েকজনকে খুঁজে বের করতে হবে। গাজায় এখনও বন্দি ৯৬ জনের মধ্যে ৬২ জন জীবিত আছে বলে ইসরাইল মনে করছে।
এর আগে হামাস এবং আরও দুটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী বলেছে, ইসরাইলের সাথে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি 'যেকোনো সময়ের চেয়ে কাছাকাছি', যদি ইসরাইল নতুন শর্ত আরোপ না করে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস, প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ ফিলিস্তিন এক বিরল যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, 'একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা (যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি) আগের চেয়ে অনেক কাছাকাছি, যদি শত্রুরা নতুন শর্ত আরোপ করা বন্ধ করে দেয়।
শনিবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনার পর এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলের বর্বর সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। এতে ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখের বেশি মানুষ।