বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ঋণমান নেতিবাচক, বলছে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট সংস্থা মুদি

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের ঋণমান বি-ওয়ান'থেকে'বি-টু'তে নেমে গেছে। আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি মুডিস জানিয়েছে বলছে পরিস্থিতি 'স্থিতিশীল'থেকে'নেতিবাচক'অবস্থায় চলে গেছে।
বিশ্বখ্যাত ক্রেডিট রেটিং সংস্থাটি তাদের পর্যালোচনায় বলেছে, সম্পদের ঝুঁকি বাড়ছে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে, যা ব্যাংকগুলোর মুনাফা ও স্থিতিশীলতার ওপর চাপ তৈরি করবে। বুধবার প্রকাশিত মুডিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পদের মানের অবনতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে, যা আগের বছরের ৫ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। মুডিসের মতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে যাওয়ায় এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের কার্যক্রম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
প্রতিবেদনে, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা হ্রাস অর্থনৈতিক মন্দার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংস্থাটির মতে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সম্পদের ঝুঁকি বাড়ছে, কারণ খেলাপি ঋণের হার বেড়ে চলেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সমগ্র ব্যাংক ব্যবস্থায় খেলাপি ঋণের হার ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা মাত্র ৯ মাস আগে ৯ শতাংশ ছিল।
মুডিস বলেছে, অর্থনৈতিক পরিবেশের অবনতি হওয়ায় সম্পদের মানও আরও দুর্বল হবে।
Comments