ব্যাটিং ব্যর্থতায় আফগানদের কাছে ধরাশায়ী বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থানটা ভালোই ছিল। ২ উইকেটে ১২০ রান তুলেছিল টাইগাররা। আল্লাহ গজনফরের ঘূর্ণিতে পরের ২৩ রান তুলতেই ধ্বস নেমে আসে টাইগার শিবিরে।
বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪৩ রানে। আফগানিস্তানের ২৩৫ রানের জবাবে ৯২ রানে হেরেছে তারা।
১২০ রান তোলার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে শুরু। বড় ইনিংসের দিকে এগোতে থাকা টাইগার ওপেনার ৪৭ রানে মোহাম্মদ নবির বলে হাশমতউল্লাহ শহিদীকে ক্যাচ দেন। ১৩২ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তানজিদ তামিমের উইকেট নেয়া গজনফরই তাকে শিকারে পরিণত করেন। মিরাজ করেন ২৮ রান।
এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিং চিত্রটা খুবই বিবর্ণ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ রশিদ খানের বলে বোল্ড হন। মুশফিকুর রহিম গজনফরের ক্যারম বল এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। এ রহস্য স্পিনারের শিকার হন রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। তাওহীদ হৃদয়কে ফেরান রশিদ। হৃদয় করেন ১১ রান।
৬ উইকেট নিতে মাত্র ২৬ রান খরচ করেন গজনফর। রশিদ ২ ও নবি নেন ১টি উইকেট।
এর আগে টাইগারদের ২৩৬ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানরা। মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের তোপে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারালেও দলপতি শহিদী ও মোহাম্মদ নবির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। বিপর্যয় সামলে ১০৪ রানের জুটি গড়েন নবি-শহিদী। ৫২ রান করে ফিজের বলে ইনসাইড এজ হয়ে স্টাম্প হারান এ ব্যাটার।
রশিদ খান খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে ছিলেন না। ১০ রান তাসকিনের ওভারে ফিজকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। নবি এরপর জুটি বাঁধেন নাঙ্গেলিয়া খারোতেকে নিয়ে নবি ৭৯ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে করেন ৮৪ রান। খারোতের ব্যাট থেকে আসে ২৭।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আফগানিস্তানঃ ২৩৫ (৪৯.৪ ওভার); নবি ৮৪, হাশমতউল্লাহ ৫২; তাসকিন ৪-৫৩, মুস্তাফিজ ৪-৫৮
বাংলাদেশঃ ১৪৩ (৩৪.৩ ওভার); শান্ত ৪৭, সৌম্য ৩৩; গজনফর ৬-২৬, রশিদ ২-২৮
ফলাফলঃ আফগানিস্তান ৯২ রানে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর
সিরিজঃ তিন ম্যাচে আফগানিস্তান ১-০ তে এগিয়ে