মুনিরীয়া যুব তবলীগের উদ্যোগে এশায়াত সম্মেলন
যুগে যুগে মানব সম্প্রদায়কে হেদায়ত করার জন্য মহান রাব্বুল আলামিন ধরার বুকে অসংখ্য নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন। এ ধারার পরিসমাপ্তি ঘটে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনের মধ্য দিয়ে। নবুয়তের ধারার পরিসমাপ্তির পর বেলায়তের ধারার মাধ্যমে হেদায়তের এ কাজ আউলিয়ায়ে কেরামগণ আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ধরার বুকে শুভাগমন করেন খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.)। যিনি প্রিয় নবীর বাতেনি নূর তাওয়াজ্জুহ প্রদান করে মানুষকে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে ইনসানে কামেল তৈরিতে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ৩ টা হতে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ পূর্ব গেইটের সামনের ময়দানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক এশায়াত সম্মেলনে উপস্থিত লাখো মুসলমানের উদ্দেশ্যে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (দ.) হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী একথা বলেন।
চবি সিনেট সদস্য এবং সংগঠনের মহাসচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এশায়াত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ. এম. এম. বাহাউদ্দীন, মহাসচিব হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শাব্বির আহমদ মোমতাজী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ রকিব উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল ও মাওলানা মুহাম্মদ সায়েম।
মিলাদ-কিয়াম শেষে প্রধান মেহমান দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
Comments