প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে বেনজীরের ফ্ল্যাটের মালামাল জমা
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের মালিকানাধীন ফ্ল্যাটে থাকা নিলামযোগ্য মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরে মালামালগুলো ত্রাণ হতবিলে জমা দেয়া হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের পরিচালক ও রিসিভার মো. মঞ্জুর মোর্শেদ এ সংক্রান্ত একটি অনুমতি আবেদন (Permission Petition No. 269/2024) দাখিল করেন। আবেদনে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মিজী এবং দুই কন্যা ফারহান বিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের মালিকানাধীন গুলশান-১ এর 'র্যাংকন আইকন টাওয়ার'এর চারটি ফ্ল্যাটে সংরক্ষিত ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কাপড়-চোপড়, রান্নাঘরের তৈজসপত্র ও অন্যান্য মালামাল নিলামের পরিবর্তে ত্রাণ তহবিলে দেয়ার অনুমতি চাওয়া হয়।
শুনানিতে দুদকের পক্ষে উপস্থিত পাবলিক প্রসিকিউটর আদালতকে জানান, এর আগে আদালতের নির্দেশে একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মালামাল নিলামের জন্য একটি প্রকাশ্য নিলাম কমিটি গঠন করা হয়। তবে কমিশনের ২৫/২০২৫ নম্বর সভায় সিদ্ধান্ত হয়—জনবহুল আবাসিক এলাকায় নিলাম আয়োজন নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিপূর্ণ। বিপুল পরিমাণ নতুন ও পুরোনো মালামাল তালিকাভুক্ত করতে গিয়ে কিছু জিনিস নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং জনস্বার্থ বিবেচনায় নিলামের পরিবর্তে এসব মালামাল ত্রাণ তহবিলে দেয়া যুক্তিসংগত।
এ অবস্থায় নিলামযোগ্য মালামালের আলামত নমুনা সংরক্ষণ করে বাকি মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। দুদকের যুক্তি ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে নিয়োগকৃত রিসিভারকে নির্ধারিত মালামাল ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়ে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
Comments