হার্দিক ঝলকে জয়ের উচ্ছ্বাস, বড় ব্যবধানে জিতল ভারত
সর্বশেষ দুই ইনিংসে দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি শুবমান গিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাই অনেকে ভারতীয় ওপেনারকে চাচ্ছিলেন না। তাতে অবশ্য কান দেননি কোচ-অধিনায়ক ও ম্যানেজমেন্ট। ধর্মশালাতেও গিলকে সুযোগ দিয়েছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও কোচ গৌতম গম্ভীর।
সুযোগ পেয়ে খুব বেশি রান করতে পারেননি গিল। তবে যতটুকু করেছেন তাতেই ভারতের কাজ হয়েছে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রোটিয়াদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। ২৫ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়েও গেছে স্বাগতিকরা। আগামী ১৭ ডিসেম্বর সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে লক্ষ্নৌতে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামবেন সূর্যকুমাররা।
১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের ভিত পায় ভারত। ৬০ রান তোলেন অভিষেক শর্মা ও গিল। ১৮ বলে সমান ৩টি করে চার-ছয় হাঁকিয়ে ৩৫ রান করে বিদায় নেন বাঁহাতি ওপেনার অভিষেক। বিপরীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করে আউট হন গিল।
ভারত পরে অধিনায়ক সূর্যকে (১২) হারালেও জয়ের কাজটা সারেন দুই অপরাজিত ব্যাটার তিলক ভার্মা ও শিবম দুবে। ২৬ রান করা তিলকের বিপরীতে ১০ রান করেন অলরাউন্ডার শিবম। উইকেট তিনটি ভাগ করে নেন লুঙ্গি এনগিডি, মার্কো ইয়ানসেন ও করবনি বশ। এর আগে ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১১৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
শুরুতেই যেভাবে ব্যাটিং ধসে পড়েছিল প্রোটিয়ারা এই রানটাও হতো না যদি ৬১ রানের ইনিংস না খেলতেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। আর্শদীপ সিং ও হারষিত রানাদের তোপে দলীয় ৭৭ রানে ৭ উইকেট উইকেট হারিয়েছিল সফরকারীরা।
একপ্রান্ত আগলে রেখে প্রোটিয়াদের কোনো রকমে একশ পার করে দেন মার্করাম। তবে অধিনায়কের সেই চেষ্টা পরে সফল হয়নি। ম্যাচ যে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে। ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ-হারষিত-বরুণ চক্রবর্তী-কুলদীপ যাদব।
অন্যদিকে ১ উইকেট নিয়ে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ত্রিস্তান স্তাবসকে আউট করে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ১০০ উইকেট পেয়েছেন। এতে বিশ্বের প্রথম পেস অলরাউন্ডার হিসেবে কমপক্ষে ১০০ উইকেট ও ১০০০ রান করেছেন। সবমিলিয়ে বিশ্বের পঞ্চম। আগের চারজনই স্পিন অলরাউন্ডার। তারা হচ্ছেন—সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ নবী, সিকান্দার রাজা ও বীরানদিপ সিং।
Comments