কক্সবাজারের ভুমি জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড তহসিলদার সেলিমের পদায়ন নিতে দৌড়ঝাপ
কক্সবাজারের রামুর ধেচুয়াপালং ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহসিলদার সেলিম উল্লাহ। নানা বিতর্কিত কান্ড ঘটিয়ে আলোচনায় থাকেন। ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন একাধিক জায়গায়। যেখানেই পোস্টিং নেয়া হয় সেখানে ঘুষ বাণিজ্যের আঁকড়ায় পরিনত করেন। ঠান্ডা মাথায় ভূমি অফিসের কর্মচারীদের দিয়ে জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেন এই তহসিলদার। বর্তমানে রামু উপজেলার ধেছুয়াপালং ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত রয়েছেন।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই ভূমি অফিসে বিতর্কিত কান্ড ঘটিয়েছে তহসিলদার সেলিম। সম্প্রতি এসব অভিযোগে জর্জরিত হয়ে নানা জায়গায় বদলি নিচ্ছেন একাধিক তহসিলদাররা। তারমধ্যে তহসিলদার সেলিমও একজন। পছন্দ মতো জায়গায় বদলি নিতে নিজেই বারো লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন। যদিওবা এই ঘুষের সম্পর্কে মুখ খুলেননি এই তহসিলদার সেলিম।
যা এখন ভুমি সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ মানুষের মুখে মুখে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। জানা যায় যে, তহসতহসিলদার সেলিম ধেছুয়াপালং ইউনিয়ন থেকে চকরিয়ার চিরিঙ্গা বা পিএমখালী পোস্টিং নিতে বারো লাখ টাকা ঘুষ দেন। যা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হলে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের থলের বিড়াল। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ইসহাক নামের একজন কর্মচারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এর নাম ভাঙ্গিয়ে এই টাকা নেন।
যদিওবা সিএ ইছহাক এবং ঘুষ প্রদানকারীরা অস্বীকার করছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল মান্ননের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেন। পাশাপাশি তাদেরকে যাচাই-বাছাই করে বদলির স্থান পরিবর্তন করা হবেও বলে জানান।
Comments