সম্পদ বিবরণী যাচাই হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়ন বাতিল হতো”—হবিগঞ্জে দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেছেন, "২০০৮ সালের নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই করা হলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হতো। তিনি নির্বাচন করতে পারতেন না, প্রধানমন্ত্রীও হতে পারতেন না।"
সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় আয়োজিত গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- "আমরা নিজেরা খারাপ লোককে নির্বাচিত করি, চাঁদাবাজকে ভোট দিই—এর ফল পুরো জাতিকে ভোগ করতে হয়। আমাদের প্রতিষ্ঠান বহু আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে এখন রক্ষা করতে হবে।"
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা সম্পদের হিসাব দিতে বাধ্য থাকলেও রাজনৈতিক নেতারা প্রায়ই আংশিক হিসাব জমা দেন এবং বাকি অংশ গোপন রাখেন। এ ধরনের তথ্য গোপন করার প্রবণতা রোধে সচেতনতা ও কঠোর নজরদারির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
গণশুনানিতে ৩৪টি সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে ৮১টি অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক ব্যাখ্যা নেন দুদক চেয়ারম্যান। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধানের নির্দেশও দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, দুদকের সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা। গণশুনানির সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
Comments