উসকানির অভিযোগে আল-আকসা খতিবের বিচার
পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের খতিব শেখ একরিমা সাবরিকে "উসকানির" অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে যাচ্ছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে শেখ একরিমার বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগে ইসরায়েলি পাবলিক প্রসিকিউশন কর্তৃক দাখিল করা অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করবে জেরুজালেমের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
৮৬ বছর বয়সী এই খতিবের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ হলো—২০২৪ সালে ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা এবং ২০২২ সালে দখলকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণে নিহতদের জন্য দোয়া ও সমবেদনা জানানো।
এর আগে ২০২৪ সালের আগস্টে হানিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সমবেদনা জানানোয় তাকে ছয় মাসের জন্য আল-আকসায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ইসরায়েলি পুলিশ। তবে তার আইনজীবী দল বলছে, ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর প্রচার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযানের ফলেই এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তার ওপর আগেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, আল-আকসায় প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে, এমনকি তার বাড়ি ভাঙার আদেশও দেয়া হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। এই বিচার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রচারকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং আদর্শিক নিপীড়নের ধারাবাহিকতার অংশ বলেও জানিয়েছেন তারা।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এর আগেও তার গাজাসমর্থক খুতবা ও বক্তব্যকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। তেল আবিবের সরকারি কর্মকর্তারা, বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোশে আরবেল, দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে উসকানি চালিয়ে আসছেন।
আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এই স্থানকে "টেম্পল মাউন্ট" বলে দাবি করে এবং প্রাচীনকালে এখানে ইহুদিদের দুইটি মন্দির ছিল বলে বিশ্বাস করে।
১৯৬৭ সালের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে পুরো শহরটি একতরফাভাবে নিজেদের সাথে সংযুক্ত বলে ঘোষণা করে—যা কখনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি দেয়নি।
Comments