জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু
ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করছে বিএনপি। বিকেল ৪টায় রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল, মালিবাগ ও বাংলামোটর হয়ে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হবে।
র্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। র্যালি উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কর্মসূচিকে ঘিরে বেলা ২টা থেকে নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা গেছে। এ সময় নেতাকর্মীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের নামে বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন।
র্যালিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসম্বলিত ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে অংশ নেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৬ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকায় মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থীদের মিছিলসহ ধানের শীষ নিয়ে র্যালিতে শোডাউন দিতে দেখা গেছে। এছাড়া ট্রাক সহকারে ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
অন্যদিকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় প্রতীকী শেখ হাসিনাকে প্রদর্শন করেছেন নেতাকর্মীরা। দেখা গেছে, একটি খাঁচার ভেতরে বন্দি রয়েছেন প্রতীকী শেখ হাসিনা। তার মুখে দুটি রাক্ষস দাঁত লাগানো হয়েছে। খাঁচায় লেখা আছে, 'আমি ভোট চোর, আমি দলের সমস্ত নেতার্মীদের ফেলে পালিয়ে যাই।' এভাবেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খাঁচার ভেতরে রেখে প্রদর্শন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি প্রতীকী খাঁচাও প্রদর্শন করা হয়। এর ভেতরে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলককে খাঁচার ভেতরে রেখে প্রদর্শন করা হয়।
অন্যদিকে র্যালি ঘিরে নয়াপল্টন এবং এর আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। পুলিশের পাশাপাশি আইনশঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদেরও দেখা গেছে।
Comments