নাটোরে জমিতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
আদালতের রায়ে ফিরে পাওয়া জমি জবর দখলে বেহাত হয়ে সুবিচারের আশায় আইনের দারস্থ হয়েছেন রেজাউল করিম শাহ। পরাজিত প্রতিপক্ষ চামেলী বেগম ও তার স্বজনরা জোরপূর্বক জমি দখল করে রেখে ঘর নির্মান করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভুক্তোভোগী রেজাউল ও অভিযুক্ত চামেলী বেগম ও তার স্বজনরা নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (৩০অক্টোবর) দুপুরে নাজিরপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করা হয়। এসময় শাহ সিরাজ,মিরাজুল ইসলাম,জাকির হোসেন,মো.শাহিনসহ অন্তত ১০ জন উপস্থিত ছিলেন।
রেজাউল জানান, ২২ বছর আগে গোপিনাথপুর মৌজার ৬২৭ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ৭৭ নম্বর দাগের ১ একর ৭৪ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ ওমর আলী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার পিতা রজব আলী। সে মামলায় ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে দেয়া রায়ে আদালত প্রতিপক্ষের স্থাপনা অপসারণ করে সমস্ত জমি তাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের জমির ৪১ শতাংশ জবরদখল করে সেখানে ঘর নির্মান শুরু করে। বাধা দিয়ে কাজ না হলে বাধ্য হয়ে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ ও নাটোর আদালতে পুনরায় মামলা করেন বলেও জানান রেজাউল।
তিনি আরো জানান, প্রতিপক্ষ ওমর আলী মারা যাওয়ার পর তার ছোট মেয়ে চামেলী বেগম,স্বামী আব্দুর রহমান,তার ছেলে সুজন ও সোহাগ,জামাই সেন্টু জমি দখল নিয়ে তাদের ঘর নির্মানসহ জমিতে গেলে প্রাননাশ করার হুমকিও দিচ্ছে। তিনি জমি ফিরে পেতে ও অপরাধীদের শাস্তির নিশ্চিতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চামেলী বেগম জানান,জমি ফিরে পেতে তারা আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করছেন। রেজাউল শাহ সম্পর্কে তার চাচা। তাদের কোন জমিজমা নেই। অন্যায় জেনেও বাধ্য হয়ে ঘর নির্মান করছেন।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব আলী জানান,বছর ২ আগে আদালত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে জমির প্রকৃত মালিক রজব আলীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিলো বলে তিনি জানেন। বর্তমানে ওই জমি পুনরায় কারা দখল করছে বা ঘর নির্মান করছে সেটা তার জানা নেই।
Comments