ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে রাজশাহীতে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে রাজশাহীতে নেমেছে অসময়ে বৃষ্টি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি শুরু হয়। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো ভারী বর্ষণ হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালেও বৃষ্টি হয়েছে। এতে জমে থাকা ধুলাবালু ধুয়ে প্রকৃতিতে ফিরেছে সজীবতা, কমেছে বায়ুদূষণও। তবে অসময়ের এই বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ২৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই বৃষ্টি আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে সর্বশেষ ৬ অক্টোবর রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। এরপর প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় নগরের বায়ুর মান বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছায়। সম্প্রতি দেশের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে রাজশাহীর নাম উঠে আসে। গতকাল বিকেল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে শুরু করে এবং সন্ধ্যার পর নামে প্রতীক্ষিত বৃষ্টি। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বৃষ্টির তীব্রতা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবেই এই বৃষ্টি হচ্ছে এবং এটি আরও কয়েক দিন চলতে পারে। আজ সকালের পর মেঘের ফাঁকে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ আবারও মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে এই বৃষ্টি পরিবেশের জন্য আশীর্বাদ হলেও কৃষির জন্য সুখকর নয় বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ ও কৃষক। রাজশাহীর মোহনপুরের কৃষক লিটন হোসেন বলেন, তার ধান পড়ে গেছে এতে ফলন অনেক কমে যাবে।
দুর্গাপুরের কৃষক রমজান আলী বলেন, রাতের বৃষ্টিতে তাঁর জমির ফুলকপি খেতে পানি জমেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষতি হবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কার্তিকের এই বৃষ্টি কৃষির জন্য লাভের চেয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে। এখন আমন ধান পাকার মৌসুম, অনেক কৃষক ধান কাটা শুরু করেছেন। আবার রবিশস্যের জন্য জমি প্রস্তুতের কাজও চলছিল। বৃষ্টির কারণে এসব কাজ অন্তত দুই-তিন দিন পিছিয়ে যাবে। তবে এখনই বৃষ্টি থেমে দ্রুত রোদ উঠলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
Comments