ডেঙ্গু জ্বর হলে করনীয়

ডেঙ্গু রোগটি ভাইরাসজনিত। সাধারণত, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ—জ্বর। ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে। জ্বর টানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়।
ডেঙ্গুর প্রতিকারের জন্য প্রধানত বিশ্রাম, প্রচুর পরিমাণে তরল পান এবং শুধু প্যারাসিটামল সেবন করা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যাবে না, কারণ এতে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ে। গুরুতর ক্ষেত্রে শিরায় স্যালাইন বা রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ডেঙ্গু রোগীর করণীয়
- বিশ্রাম:
ডেঙ্গু রোগীদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- প্রচুর তরল পান:
শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করতে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি বা অন্যান্য তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- জ্বর কমানো:
জ্বর কমাতে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল ব্যবহার করা উচিত। এটি প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পরপর জ্বরের মাত্রা বুঝে সেবন করা যেতে পারে।
- ডাক্তারের পরামর্শ:
কোনোভাবেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বা নন-স্টেরয়েডাল প্রদাহনাশক ওষুধ (যেমন অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন) গ্রহণ করা যাবে না, কারণ এতে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ে।
- হাসপাতালে ভর্তি:
- যদি জ্বর খুব বেশি হয় বা নিয়ন্ত্রণে না আসে।
- যদি শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা বা লালচে র্যাশ দেখা দেয়।
- যদি বমি বমি ভাব বা পেট ব্যথা হয়।
- যদি প্লেটলেট কাউন্ট মারাত্মকভাবে কমে যায়।
Comments