আমার কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই: ধর্ম উপদেষ্টা

আমার কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। কোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি করিনি, চুরি করতে কাউকে সহায়তা করিনি। কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেশ থেকে কোথায় পালাবো? যেখানে ঢাকা, চট্টগ্রাম শহরে আমার কোনো ঘর নেই। বাইরে সেফ এক্সিট নিয়ে রাস্তায় গিয়ে শুয়ে থাকবো? ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারলে সেটি বড় কৃতিত্ব হবে। সেফ এক্সিট কেন খুঁজবো? আমরা কোনো অপরাধ করিনি, টাকা লুট করিনি। ফলে আমাদের লুকিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই।
খালিদ হোসেন বলেন, ২০২৬ সালের পবিত্র হজের জন্য ১২ অক্টোবর নির্ধারিত সময় পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশী নিবন্ধন করেছেন। ১৪ তারিখ সৌদি সরকারের সঙ্গে মিটিং আছে। আশা করি হজের নিবন্ধনের সময় বাড়বে। আমরা হজের নিবন্ধনের সময় বাড়াতে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাবো। আগামীকালের বৈঠকের পর হজ নিবন্ধনের সময় আরও কয়েকদিন বাড়তে পারে। বলেন, ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া মডেল ব্যবহার করলে আগামী দিনে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রী আরও বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে অনেকে অনেক কথা বলেন। ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব, রাজনীতিবিদ সবার সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক। সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুতে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায়। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে বলেছি, সঙ্গীত বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে এবং ধর্মীয় শিক্ষক নেয়া নিয়ে হেফাজতে ইসলাম এবং আলেম ওলামাদের যে দাবি আছে সেটি নিয়ে বসা দরকার।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ধর্ম শিক্ষার ক্লাস এর মধ্যে বাড়ানো হয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে একটি ডিও লেটার দিয়ে বলেছি, যেসব কওমি মাদ্রাসা ছাত্রের দাওরায়ে হাদিসের সনদ আছে তাদের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে নিতে। উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করার কথা জানিয়েছিলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাকে জানিয়েছেন, সঙ্গীত শিক্ষার ঘোষণাটি খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এখন তারা আর এ বিষয়ে অগ্রসর হচ্ছেন না। হেফাজতে ইসলাম এবং বিভিন্ন ইসলামি দলের দাবি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করছে। তারা দেখবে কি করা যায়। সঙ্গীত থাকবে কিনা সেটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ঠিক করবে।
Comments