ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতে যে ভঙ্গিতে ঘুমানো উচিত

অনেকের সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠেন ঘাড় বা পিঠে ব্যথা নিয়ে। এর মূল কারণ হতে পারে ভুল ঘুমের ভঙ্গি। সম্প্রতি সার্জন ডা. দুষ্যন্ত চৌচান ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন এমন কিছু সহজ ঘুমের ভঙ্গি, যা ঘাড়, পিঠ ও জোড়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
হিন্দুস্তান টাইমস থেকে জানা যায়, ডা. দুষ্যন্ত জানান, আপনি যেভাবে ঘুমান, তা আসলেই আপনার জোড়ের ব্যথাকে বাড়াতে বা কমাতে পারে। সাধারণত যদি আপনি পাশের দিকে ঘুমান, তবে হাঁটুর মধ্যে একটি বালিশ রাখলে কাঁধ ও কোমরের ওপর চাপ কমানো যায়। অন্যদিকে যারা পিঠের ওপর ঘুমান, তাদের জন্য হাঁটুর নিচে বালিশ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এটি সহজ উপায়ে পিঠ ও জোড়ের ওপর চাপ কমায় এবং ব্যথা হ্রাস করে।
ডা. দুষ্যন্ত আরও বলেন, এই দুটি সহজ ঘুমের ভঙ্গি নিয়মিত অনুসরণ করলে অপ্রয়োজনীয় চাপ কমানো সম্ভব এবং জয়েন্ট পেইন কমে যাবে। প্রতিদিন সকালে তুলনামূলকভাবে কম স্টিফনেস ও আরামদায়ক জেগে ওঠার অভিজ্ঞতা পাওয়া সম্ভব।
সুস্থ মেরুদণ্ডের জন্য অন্যান্য টিপস: ডা. অরুণ ভানোট ঘুমের ভঙ্গির গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেন, ভাল ঘুমের ভঙ্গি পিঠের চাপ কমায়, স্টিফনেস এড়ায় এবং মেরুদণ্ডের সঠিক সমন্বয় বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডা. ভানোট পরামর্শ দিয়েছেন ফার্ম থেকে মিডিয়াম ফার্মের গদি ব্যবহার করার। কারণ এটা অতিরিক্ত শক্তও নাও নরমও নয়। এছাড়াও এমন বালিশ ব্যবহার করুন যা ঘাড়কে সমতলে রাখে, পেটের ওপর ঘুমানো এড়িয়ে চলুন এবং খুব উঁচু বালিশ ব্যবহার না করাই ভালো। এই ছোট ছোট টিপস মেনে চললে দীর্ঘমেয়াদে মেরুদণ্ড ও জোড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব।
সুস্থ মেরুদণ্ড এবং আরামদায়ক ঘুমের জন্য আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাসই বড় ভূমিকা রাখে। শুধুমাত্র সঠিক ঘুমের ভঙ্গি অনুসরণ করলেই পিঠ, ঘাড় ও জোড়ের অপ্রয়োজনীয় চাপ কমানো সম্ভব। তাই রাতে শুতে যাওয়ার আগে ছোট এই পরিবর্তনগুলো আনা, দীর্ঘমেয়াদে শরীরকে সুস্থ রাখার সহজ ও কার্যকর উপায় হতে পারে। প্রতিদিন সকালে যখন তুলনামূলকভাবে কম স্টিফনেস ও বেশি আরাম অনুভব করবেন, তখনই বুঝবেন সঠিক ঘুমই সত্যিই স্বাস্থ্যকর জীবনের মূল চাবিকাঠি।
Comments