নখকুনির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ? এটি কেন হয়?

নখকুনি, এটি সাধারণ শব্দ মনে হলেও যারা এর সমস্যায় ভুগছেন, তারা এর যন্ত্রণা সম্পর্কে জানেন। মূলত পায়ের নখ চামড়ার ভেতরে প্রবেশ করলে নখকুনি বলে থাকি আমরা। এ থেকে তীব্র ব্যথা, লালচে হওয়া, এমনকি ইনফেকশনও হতে পারে।
নখকুনির সমস্যা হলে এর যন্ত্রণায় অনেকেই নানা ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করেন। তাতে অবশ্য কার্যত কোনো ফল পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা মেনে চললে নখকুনির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এ ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম। তাহলে নখকুনির সমস্যা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
নখকুনির মূল কারণ:
ভুলভাবে নখ কাটা, টাইট বা ফিটিং জুতা পরা, নখে ধাক্কা লাগা বা আঘাত পাওয়া, হাইজিন ঠিকভাবে অনুসরণ না করা এবং পায়ের ঘাম ও জীবাণু সংক্রমণের কারণে নখকুনি হয়ে থাকে।
ঘরোয়া উপায়ে নখকুনি সারানোর পদ্ধতি:
নখকুনি সারানোর জন্য ঘরোয়া উপায়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখা। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট এভাবে পা ভিজিয়ে রাখলে নখের আশপাশের অংশ বেশ নরম হয়। এতে ব্যথা কমে এবং ইনফেকশনের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। তবে কেউ চাইলে গরম পানির সঙ্গে হালকা লবণ মিশিয়েও নিতে পারেন।
অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার:
পা ভেজানোর পর ভালো করে শুকিয়ে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা আইডিন লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে জীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কটন বল:
নখ ও চামড়ার মাঝে হালকা করে ছোট্ট কটন বল রেখে দিন। এই পদ্ধতি অনুসরণের ফলে নখ কিছুটা সোজা হয়ে থাকে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার:
এক কাপ পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস থাকলে তা ধ্বংস হয়।
নখকুনি প্রতিরোধে করণীয়:
পা ও হাতের নখ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। সবসময় খোলা ও আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করুন। নখ সোজাভাবে কাটুন, কোনোভাবেই গোল করে কাটা উচিত হবে না। ঘাম ধরে রাখে এ ধরনের মোজা ব্যবহার করা যাবে না। এ ধরনের মোজায় ঘাম ধরে রাখার ফলে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। আর ডায়াবেটিস থাকলে পায়ের বিশেষ যত্ন নেয়া ও সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন:
ইনফেকশন বেড়ে গেলে বা পুঁজ জমে পা যদি ফুলে যায়, ৫-৬ দিনের মধ্যে যদি ব্যথা বা কুনি সংক্রান্ত সমস্যা না কমে, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। মনে রাখবেন, নখকুনির সমস্যা অবহেলা করলে ভবিষ্যতে তা জটিল হতে পারে। এ জন্য শুরু থেকেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে যত্ন নিন এবং সঠিক নিয়ম মানা হলে এই সমস্যা থেকে সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
Comments