চুয়াডাঙ্গায় পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান
পাখি শিকার বন্ধে প্রতিনিয়ত পরিবেশবাদী সংগঠন নিয়মিত প্রচারণা করে আসছে। তারপরও কিছু কিছু অসাধু পাখি শিকারীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে শীতের শুরুতে শিকার করে থাকে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ছযটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ড়াইটুপি ইউনিয়ানের সড়াবাড়িয়া মাঠে পাখি শিকারীরা জাল বিছিয়ে রাখে। এই খবরটি বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড নেচার ইনিশিয়েটিভ এর সভাপতি ও বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ এর প্রাণিবিদ্যা প্রভাষক আহসান হাবীব শিপলুর নিকট পৌঁছে।
সেই মূহুর্তে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন তিনি। এ সময় অভিযানকারীদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারীরা সটকে পড়ে। বিষয়টি দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বন কর্মকর্তাকে জানানো হয়। ঘটনাস্থলে প্রায় ২৫০ গজ জাল ও সরঞ্জাম এবং জীবিত একটি পাখি উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে পাখি শিকারীদের সরঞ্জাম পার্শ্ববর্তী গহেরপুর নিয়ে আসা হয়। সেখানে সকলের সামনে জীবিত পাখি অবমুক্ত করা হয়। জাল ও সরঞ্জামগুলো সকলের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ফেলা হয়। পাখিদের উপকারীতা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী পাখি শিকারের সাজা সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা হয়।
আহসান হাবীব শিপলু বলেন, আমরা প্রকৃতির অলংকার পাখি শিকার বন্ধে জেলাব্যাপী কাজ করি। মানুষ আজ সচেতন বলেই পাখি শিকারীদের দেখা মাত্র বন বিভাগ অথবা পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোকে অবহিত করছে। আমরাও চেষ্টা করছি প্রশাসন ও বন বিভাগকে সাথে নিয়ে পাখি শিকারীদের প্রতিহত করতে। আশা করি সেই দিন বেশী দূরে নয় সকলে আমরা প্রকৃতির অলংকারগুলোকে রক্ষা করবো কাধে কাধ মিলিয়ে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় পাখির ভূমিকা অতুলনীয়। তাই আসুন পাখি শিকার রোধ করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের হাসানুজ্জামান রিগান, বায়জিদ, শাহাবুল, আলমাছ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Comments