হবিগঞ্জে শতবর্ষের ঐতিহ্যে রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত

ধর্মীয় রীতিনীতি ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জ শহরের রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রামকৃষ্ণ মিশনে ১ম শ্রেণির ছাত্রী কুমারী উৎসা চক্রবর্তী শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী মালিনী কুমারী হিসেবে পূজিত হন। উৎসা শহরের চিড়াকান্দি এলাকার শ্রী উজ্জ্বল চক্রবর্তী ও রিক্তা ভট্টাচার্যের কন্যা এবং শহরের দি লার্নিং স্টার একাডেমীর ১ম শ্রেণীর ছাত্রী।
এবারের কুমারী পূজা দেখতে রামকৃষ্ণ মিশনে জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকা থেকে জড়ো হয় হাজার হাজার দর্শনার্থী। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা, অশুভ শক্তির বিনাশ এবং নারীদের সুরক্ষায় প্রার্থনা আগত পূজারীদের।
এর পুর্বে পূজা শুরুর আগে কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। হাতে দেওয়া হয় ফুল, কপালে সিঁদুরের তিলক ও পায়ে আলতা। যথাসময়ে সজ্জিত আসনে বসিয়ে পূজা করা হয় কুমারী মাকে।
এসময় শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মায়ের স্তুতিতে মুখরিত হয় চারদিক। দূর্গাপুজার মহাঅষ্টমীর দিন প্রতি বছর ৫ থেকে ১২ বছরে বয়সী কিশোরীকে দেবীরুপে পূজা করা হয়।
হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন ও সেবাশ্রম অধ্যক্ষ স্বামী বেদময়ানন্দজী মহারাজ জানান, কুমারি পূজার অর্থ হলো নারী শক্তিকে পূজা করা, মায়ের রূপকে পূজা করা। আমাদের মাঝে যত কাম, ক্রোদ, লোভ, লালসা দুর করে অসুরের বিনাশ ও পবিত্র মানুষদের রক্ষা করেন মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি।
তিনি বলেন, কুমারী পূজা দেখতে হাজার হাজার নারী পুরুষ এখানে এসেছে। শান্তিপূর্ণ নির্বিঘে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, কুমারী পূজা উপলক্ষে হবিগঞ্জ শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি মাঠে থাকে র্যাব-আনসার সদস্যরা। এছাড়াও মন্ডপ এলাকা যানজটমুক্ত রাখতে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা।
মন্ডপ গুলোতে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি বাড়ানো হয় সাদা পোষাকদারি পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাবের নজরদারি।
Comments