মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ হলেন জেসিয়া ইসলাম

মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হলো এ বছরের খেতাবপ্রাপ্ত বিজয়ী জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানোর মধ্য দিয়ে। এই যাত্রা শুরু হয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো অনলাইন আবেদনের মধ্য দিয়ে, যেখানে বাংলাদেশের তরুণীরা তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিলেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য।
কঠোর যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার পর নির্বাচিত হন এবারের টপ নাইন বা শীর্ষ নয়জন প্রতিযোগী। তারা তাদের এই উদ্দীপনাময় যাত্রায় অংশ নেন গ্রুমিং সেশন, ফটোশুট ও কনটেন্ট তৈরিতে। এই পর্যায়গুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন এর মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিত্ব, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস আরও ভালোভাবে ফুটে ওঠে।

দ্বিতীয়বারের মতো মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর স্পন্সর করতে পেরে শোকুবুতসু তাদের গৌরবময় অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে এই প্ল্যাটফর্মকে সহযোগিতা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
টপ নাইন থেকে বিচার-বিশ্লেষণের পর নির্বাচিত হন তিন ফাইনালিস্ট: জেসিয়া ইসলাম, সাজরিয়া তাবাসসুম প্রমা ও সোমাইয়া হারুন। ফাইনাল রাউন্ড শেষে জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানো হয় এবারের মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫ হিসেবে। সাজরিয়া তাবাসসুম প্রমা হন ফার্স্ট রানার-আপ, আর সেকেন্ড রানার-আপ হয়েছেন সোমাইয়া হারুন।

সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন অসংখ্য গণমাধ্যমকর্মী, ট্যালেন্ট ক্যাম্পের (AMTC) প্রতিষ্ঠাতা ও মিস ইন্টারন্যাশনালের ন্যাশনাল ডিরেক্টর আজরা মাহমুদ আর শোকুবুতসুর মূল প্রতিনিধিরা।
সৌন্দর্যের বাইরেও, এ বছরের বিজয়ীরা তাদের সামাজিক প্রভাব ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর প্রতি গভীরভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। জেসিয়া ইসলাম মাদকাসক্ত পথশিশুদের পুনর্বাসনে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। অন্যদিকে, সাজরিয়া তাবাসসুম প্রমা ও সোমাইয়া হারুন দুজনেই সামাজিক প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন কমিউনিটি গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক সামাজিক প্রকল্পে যুক্ত আছেন। তিনজন ফাইনালিস্টই এনজিওর সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যাতে তাদের প্রচেষ্টা অর্থবহ ও টেকসই পরিবর্তন আনতে পারে। তারা সামাজিকভাবে সক্রিয় থেকে সমাজে দীর্ঘস্থায়ী অবদান রাখার এই পথচলা অব্যাহত রাখতে খুবই আগ্রহী।

জেসিয়া ইসলাম এখন গৌরবের সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা বহন করবেন মিস ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায়, যা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ নভেম্বর টোকিও, জাপানে। সেখানে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠার অভিযাত্রা অব্যহত রেখেছে যেখানে এটি শুধু সৌন্দর্য ও প্রতিভা প্রদর্শনের মঞ্চ নয়; বরং এটি সমাজে অর্থবহ অবদান রাখা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার অনুপ্রেরণা দেবে।
Comments