বিদেশী প্রতিনিধিদের সাথে বরিশাল নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময়

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং এর চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে সুইডেন, নরওয়ে ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি ও ব্রিটিশ হাই কমিশনার।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে বেলা ১২ টায় এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়।
মতবিনিময় সভায় ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভা শেষে তারা বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যায়ের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে মতবিনিময় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ।
ভবিষ্যতে নির্বাচন একটা সুন্দর, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এমন প্রত্যাশা করেছেন বিভিন্ন দেশের রাস্ট্রদুতরা। নির্বাচন কমিশনের এই অগ্রযাত্রায় তারা শামিল হয়ে পাশাপাশি থেকে কাজ করার জন্য তারা আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগামী ত্রেয়দশ নির্বাচনের জন্য একটি মাস নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এলক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেশে বিদেশে নির্বাচনটাকে সবার জন্য আমরা উন্মুক্ত রেখেছি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করে যাওয়া হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে বিদেশীদের সংস্থা এবং আমাদের যে বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্র রয়েছে সে সমস্ত রাষ্ট্রের সাথে আমরা বিভিন্ন সময় মত বিনিময় করেছি। আমরা আমাদের নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে তাদেরকে জানিয়েছি।
তিনি জানান, মতবিনিময় সভায় উপস্থিত রাষ্ট্রদুতরা আমাদের আগামী দিনের কি প্রস্তুতি? আগামী দিনের কি চ্যালেঞ্জ আছে নির্বাচনকে সুস্থ করার জন্য সে বিষয়ে তারা আমাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
তারা বিশেষ করে জানতে চেয়েছিলেন নারী ভোটারদের কিভাবে ভোটে বেশি অংশগ্রহণ করানো যায়? সে বিষয়ে আমরা কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা তাদেরকে বলেছি এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর।
তারা আমাদের নির্বাচনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। আমরা ভোটার তালিকা করা সহ আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করেছি।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, তারা জানতে চেয়েছিলেন আগামী নির্বাচন এবং অতীতের বিশেষ করে ২০২৪ সালের নির্বাচনের কি কি পার্থক্য থাকবে। ক্ষেত্রে আমরা বলেছি বিভিন্ন ধরনের আইনের সংস্কার, আইনের পরিবর্তন যতটুকু প্রয়োজন সেগুলো আমরা বলেছি।
তারা আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেছেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের বক্তব্যের সন্তুষ্ট হয়েছেন। ভবিষ্যতে এই নির্বাচন একটা সুন্দর, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে সেটা তারা প্রত্যাশা করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এই অগ্রযাত্রায় তারা শামিল হয়ে পাশাপাশি থেকে কাজ করার জন্য তারা আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
Comments