ডিজিটাল ভূমিসেবার চ্যালেঞ্জগুলো দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে পারব: সিনিয়র সচিব

বাংলাদেশে ডিজিটাল ভূমিসেবার চ্যালেঞ্জগুলো দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত 'মানোন্নীত সফটওয়্যারগুলোর কার্যক্রম পর্যালোচনা, চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ' শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ঐতিহ্যগতভাবে কাগজ-ভিত্তিক এবং সময়সাপেক্ষ ছিল। নাগরিক সেবাকে সহজ, দ্রুত ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে ভূমি খাতে একাধিক সফটওয়্যার চালু করেছে। এসব সফটওয়্যার ভূমিসেবা দেওয়ার পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনছে।
এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, ভূমিসেবার ডিজিটাল রূপান্তরে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল দক্ষতা ও সচেতনতার ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি সার্ভার ও ইন্টারনেট সুবিধা শক্তিশালীকরণ, ব্যাকআপ সিস্টেম নিশ্চিতকরণ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতে নিয়মিত আপডেট ও সংস্কার কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প বাংলাদেশে ভূমিসেবার মানোন্নয়নে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। উন্নতমানের সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে সেবায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উদ্যোগ দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে।
কর্মশালায় ২৭টি আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করা হয় এবং সেগুলোর মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন– ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এ. জে. এম. সালাহউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) ড. মাহমুদ হাসান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
Comments