শ্রমিকদল নেতার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে নিয়ে শ্রমিকদল নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় পুরো উপজেলাজুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী নারী অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী জহুরা (৪০) কুয়েতপ্রবাসী মো. মাহাবুরের স্ত্রী। মাহাবুর মাদারগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে জহুরা বাদী হয়ে আবু বক্কর সিদ্দিকসহ আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে বিবাদী করে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগীর স্বামী প্রবাসে থাকাকালে ২০২২ সালের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মোট ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাওলাদ নেন আবু বক্কর সিদ্দিক। পরে টাকা ফেরতের সময় পার হয়ে গেলে জহুরা টাকা চাইলে তিনি বারবার সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। টাকা উদ্ধারের স্বার্থে জহুরা যেখানেই ডাক পেয়েছেন সেখানেই গিয়েছেন এবং একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছেন। এ সময় আবু বক্কর গোপনে ওই মুহূর্তগুলোর ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
পরে টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্ত নেতা ভিডিও ফাঁসের হুমকি দেন এবং জহুরাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন। সম্প্রতি জহুরার স্বামী দেশে ফেরার পর টাকা চাইলে আবু বক্কর আবারও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে আবু বক্কর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে ৫-৬ জন সহযোগীকে নিয়ে জহুরার বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে বাধা দিলে তারা জহুরার ওপর হামলার চেষ্টা করেন। জহুরার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে ওই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হতে থাকে।
অভিযুক্ত আবু বক্কর সিদ্দিক উপজেলা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। এর আগে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবু বক্কর সিদ্দিকের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুর সময়ের মধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
Comments