টয়লেটে বসে ফোন ব্যবহারে পাইলসের ঝুঁকি

আজকের ডিজিটাল যুগে আমাদের অনেকেই ফোন নিয়েই ঘরে বাইরে থাকি, এমনকি বাথরুমেও। প্রথমে মনে হতে পারে এটিতে কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টয়লেটে দীর্ঘ সময় ফোনে স্ক্রল করা আপনার অন্ত্র, পোষ্টার এবং সাধারণ স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। হার্ভার্ড এবং স্ট্যানফোর্ডে প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. সৌরভ সেথি সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ৭টি কারণ তুলে ধরেছেন কেন বাথরুমে ফোন ব্যবহার এড়ানো উচিত। এগুলো হলো:
১. হেমোরয়েডের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া: বিশেষজ্ঞরা বলছেন যারা টয়লেটে থাকাকালীন স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাদের হেমোরয়েড বা পাইলসের ঝুঁকি ৪৬ শতাংশ বেশি। এটি ফাইবার গ্রহণ, বয়স, ব্যায়াম, ওজন বা স্ট্রেনিং-এর উপর নির্ভর করে না।
২. সময় আরও বেশি বসে থাকা: ফোন ব্যবহারকারীদের ৩৭ শতাংশ মানুষ প্রতি টয়লেট ভিজিটে ৫ মিনিটের বেশি সময় কাটান, যেখানে অ-ব্যবহারকারীদের মাত্র ৭.১ শতাংশ। দীর্ঘ সময় বসে থাকা অ্যানাল টিস্যুর উপর চাপ বাড়ায়।
৩. দীর্ঘ সময় থাকলে ঝুঁকিও বাড়ে: সাধারণত ৫ মিনিটের বেশি বাথরুম সময় কাটালে পাইলসের ঝুঁকি আরও বাড়ে, এমনকি স্ট্রেনিং-এর চেয়েও বেশি।
৪. পেলভিক ফ্লোরে কোনও সমর্থন নেই: চেয়ার বা সোফার মতো, টয়লেট সিট পেলভিক ফ্লোরকে কোনও সমর্থন দেয় না। দীর্ঘ সময় বসলে হেমোরয়িডাল কুশনের উপর চাপ বাড়ে।
৫. অ্যাপগুলি মনোযোগ ধরে রাখে: নিউজ বা সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রল করলে মস্তিষ্ক সময়ের হিসাব হারায়, ফলে বাথরুমে থাকার সময় বাড়ে।
৬. হেমোরয়েডের চিকিৎসা সাধারণত ব্যয়বহুল: প্রায় ৫০–৬৬ শতাংশ মানুষ জীবনে একবার হলেও হেমোরয়েডের সম্মুখীন হন। প্রতি বছর এটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ মিলিয়ন চিকিৎসা পরিদর্শন এবং ৮০০ মিলিয়ন ডলারের স্বাস্থ্যসেবা খরচের কারণ হয়ে থাকে।
ডিজিটাল নির্ভরতার মধ্যে বাথরুমে ফোন নিয়ে থাকা এখন সাধারণ অভ্যাস। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এই অভ্যাস অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের এই অভ্যাস এড়িয়ে চললে শুধু পাইলসের ঝুঁকি কমবে না, বরং পেলভিক এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও রক্ষা হবে। তাই বাথরুমে থাকা সময় সংক্ষিপ্ত রাখুন এবং বাথরুমে ফোন ব্যবহার এড়ানো সবচেয়ে ভালো।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
Comments