পটুয়াখালী গ্রামাঞ্চলসহ পাড়া মহল্লায় শুরু হয়েছে দূর্গা পূজার আমেজ

আগামী ০২ অক্টোবর শুরু হবে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজার আনুষ্ঠিকতা। তাই পড়া মহল্লাসহ প্রতিটা গ্রামের মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরী ও সাজ সজ্জার কাজ। যে কোন ধরনের অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে মন্ডপে মন্ডপে থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এটি পটুয়াখালীর সবচেয়ে বড় এবং ঐতিহ্যবাহী ২০০ বছরের পুরনো নতুন বাজার এলাকার শ্রী শ্রী মদনমোহন জিঁউড় আখড়াবাড়ি মন্দির। পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে এ মন্দরটিকে সাজানো হচ্ছে নতুন সাজে। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এ মন্দিরের প্রতিমা তৈরীর মাটির কাজ। শুধু এ মন্দিরই নয় জেলার ২০০ টি মন্ডপের মধ্যে অধিকাংশ মন্ডপের মাটির কাজ শেষ। এখন চলছে রং তুলির আচর। কারিগরদের হাতের নিপুন ছোয়ায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেবী দুর্গা মাকে।
প্রতিমা শিল্পী সুজন পাল জানান, এ বছর ৬টি প্রতিমা তৈরীর কাজ পেয়েছেন তিনি। গেল বছরের তুলনায় এ বছর রংসহ প্রতিমা তৈরিতে বিভিন্ন সরঞ্জাম দাম অনেক বেশি। এছাড়া পারিশ্রমিকও কম বলে তিনি আক্ষেপ করেন। ষষ্ঠীর আগেই সব কাজ শেষ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, "রং তুলির কাজ নিয়ে এখন আমাদের দম ফেলার ফুরসত নেই।"
মণ্ডপে মণ্ডপে কারীগররা নিপুন হাতে গনেশ, স্বরসতি, কার্তিক, অসুর, সিংহ, পেঁচা, ইদুর, হাঁস, ময়ূর, সাপ, লক্ষি, মহাদেবের মূর্তি তৈরি করছেন। এখন শেষ মুহুর্তে চলছে রং-তুলির কাজ।
জগনাথ মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সজল সমাদ্দার বলেন পূজা উদযাপনের প্রস্তুতির কাজ ইতিমধ্যে আশি ভাগ শেষ হয়েছে। ধর্ম বর্ন নির্বেশেষে সবাইকে এ উৎসবে সামিল হওয়ার আহবান রইলো।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রতিটি মন্ডপে থাকবে পুলিশের নজরদারি সহ সিসি ক্যামেরা।
ঢাকের বাদ্যে মেতে উঠবে জেলার হাজারো সনাতন ধর্মালম্বীরা। দেবী দূর্গার আগমনে দূর হবে সকল অশুভ শক্তি এমন প্রত্যাশা সনাতনীদের।
Comments