নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে আলোচনায় সুশীলা কার্কি

নেপালে সরকার পতনের পর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে পারেন বলে আলোচনা শোনা যাচ্ছে। 'জেন-জি' আন্দোলনের এক প্রতিনিধি এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর বৃহস্পতিবার এই আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এক সামরিক মুখপাত্র এএফপিকে জানান, সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল বুধবার সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও জেন-জি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
প্রায় তিন কোটি জনসংখ্যার হিমালয়ের এই দেশে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার পর সেনাবাহিনী শৃঙ্খলা ফেরাতে চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হন এবং সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়।
বৈঠকে অংশ নেওয়া রক্ষ্যা বম বলেন, 'এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনায় সুশীলা কার্কির নামই উঠে আসছে। আমরা এখন রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।'
তিনি এএফপিকে বলেন, 'আমরা সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছি। কীভাবে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রেখে সামনে এগোনো যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে ।'
৭৩ বছর বয়সী কার্কি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি। তিনি এএফপিকে বলেন, 'বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে বসতে হবে। তারপর সামনে এগোনোর পথ নির্ধারণ করতে হবে। দেশের সংসদ এখনো বিদ্যমান।'
তবে অনেকে বলছেন, জেন-জি বিক্ষোভকারীদের এই পছন্দ শেষ কথা নয়। কারণ তারা এই আন্দোলনের একক অংশীদার নয়।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিসকর্ড অনলাইন প্ল্যাটফর্মে হাজারো তরুণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় ভিন্ন ভিন্ন এজেন্ডা ও প্রতিনিধি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করা হয় এবং তীব্র মতবিরোধও দেখা দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো সেনারা রাজধানীর রাস্তায় টহল দেয়। শহর আপাত শান্ত থাকলেও সবখানে সেনা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এর আগে, সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত সোমবার কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু তা দ্রুত দেশজুড়ে ক্ষোভে রূপ নেয়।
Comments