ইডেন কলেজে ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী বন্টনে অনিয়ম

ইডেন মহিলা কলেজে বিভিন্ন ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার নীতিমালায় স্পষ্ট অনিয়ম রয়েছে। এ কারণে এই সকল পরীক্ষা পরিচালনায় একটি 'সুষ্ঠু নীতিমালা'প্রণয়নের দাবি অনেক পুরনো। ইতোপূর্বে অধ্যক্ষরা তাদের রাজনৈতিক খুঁটির জোর এবং অফিসের সহায়তায় নিজেদের ইচ্ছেমতো পরীক্ষা পরিচালনা করেছেন সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে।সে সময় সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা একটি সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের পরে বর্তমান অধ্যক্ষ ডক্টর শামসুন্নাহার দায়িত্ব নেওয়ার পর সকল শিক্ষক আশান্বিত হন যে, এবার পরিবর্তন হবে। কিন্তু অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেবার পর দেখা যায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলকে পাশ কাটিয়ে তিনি একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে। তিনি সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে, একদিনের নিয়োগ পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষার কমিটি গঠন, ভিজিলেন্স'র দায়িত্ব বণ্টন করছেন। সম্মানী বণ্টনে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
এখানে উল্লেখ্য ইডেন মহিলা কলেজ ব্যতীত বাকি সরকারি প্রায় ছয় কলেজেই একই রকম নীতিমালায় বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষা পরিচালিত হয়।ঢাকার আশেপাশের কলেজগুলোতে একই বণ্টন নীতিমালায় সম্মানী বণ্টিত হয়। শুধু ইডেন মহিলা কলেজে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা যায়নি। এখানে একজন কক্ষ পর্যবেক্ষক এক ঘণ্টা এবং দেড় ঘণ্টার পরীক্ষায় ১৬০০টাকা থেকে ১৮০০ টাকা সম্মানী পান। অন্যদিকে অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ লক্ষাধিক এবং তার কাছাকাছি টাকা নিয়ে থাকেন ।
কলেজের হেড ক্লার্ক এবং হিসাবরক্ষক একজন কক্ষ পর্যবেক্ষকের চেয়ে ১০ থেকে ১২ গুণ টাকা বেশি পেয়ে থাকেন। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার বণ্টন নীতির পরিবর্তন এনেছেন কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনের প্রয়োজন বোধ করেননি । প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেন এটা তার একান্ত নিজের সিদ্ধান্ত। তিনি ইচ্ছা করলে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নাও নিতে পারেন। এ কারণে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দ্রুত এর সমাধান চান।
Comments