ফায়ার সার্ভিসের দ্বিতীয় দিনের চেষ্টায় কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

ফায়ার সার্ভিসের দ্বিতীয় দিনের চেষ্টায় অবশেষে নিখোঁজের পরের দিন মৃগী নদী থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৭ আগস্ট রবিবার দুপুরে উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে লেলুর ঘাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।
এর আগে গতকাল শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর একটার দিকে মৃগী নদীর ইলিশা ঘাটে গোসল করতে নামার পর সে নিখোঁজ হয়। শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে লাশ খুঁজে না পেয়ে ফিরে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নিহত কিশোর শেরপুর সদরের কুঠুরাকান্দা পশ্চিম পাড়ার আলম মিয়ার ছেলে। সে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলো।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে শেরপুর সদরের মৃগী নদীর ইলিশা গ্রামে তিন বন্ধু মিলে গোসল করতে নামে। এসময় পানির স্রোতে দুইজন ডুবে যেতে চাইলে আব্দুল জলিল একে একে দুইজনকে উদ্ধার করে। তবে একপর্যায়ে নিজেই স্রোতের টানে ভেসে নিখোঁজ হয়। পরে খবর পেয়ে শেরপুর ও জামালপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল এসে দীর্ঘ সময় উদ্ধার অভিযান চালালেও সন্ধ্যা পর্যন্ত জলিলের খোঁজ মেলেনি। আজ ১৭ আগষ্ট সকাল থেকে আবারো অনুসন্ধান চালালে কুঠুরাকান্দা নেলুর ঘাট থেকে দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. যুবাইদুল আলম জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। এই বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখছি।
Comments