নীলফামারীতে চাষীরা সোনালি আঁশ ঘরে তোলায় ব্যস্ত

পাটকে সোনালি আঁশ বা গোল্ডেন ফাইবার বলা হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে নীলফামারীতে পাট চাষ কমছে। তবে গত বছরে ভালো দাম থাকায় এবার জেলায় ব্যাপক হারে বাড়ছে চাষ। সুদিন ফিরে আসছে চাষিদের। ডোবা থেকে পাট তোলার ব্যস্ত সময় পার করছেন পাট চাষিরা।
সদরের বিভিন্ন এলাকায় পাট কাটা, পাট জাগা ও সংগ্রহ ও বিক্রি কাজে ব্যস্ত পাট চাষিরা। চলতি বছরে পাটের দাম ভালো থাকায় স্বস্তি মিলেছে পাট চাষিদের। এক সময় উত্তরে মঙ্গাপিড়িত জেলা হিসেবে নীলফামারী পরিচিত ছিল। কিন্তু উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি এবং উপ-সহকারীকৃষি কর্মকর্তাদের সুপরামর্শে মঙ্গাকে টপকিয়ে চাঙায় পরিণত হয়েছে এই জেলা এমনটা মন্তব্য সুশীল সমাজের।
সদরে টুপামারী ইউনিয়নের পাট চাষি সুভাজ জানান, গত বছরে কিছু জমিতে আমনের পর আলু চাষ করেছিলাম। আবহাওয়া ভালো থাকায় সেই জমিতে আবার পাট চাষ করে ছিলাম তাতে বাম্পার চাষ হয়েছে। ভালো দাম পেয়েছি। পাট চাষাবাদে তিনি লাভবান হয়েছে। এছাড়া তিনি প্রতি বিঘায় এগারো মণ পাট পেয়েছেন।
ওই এলাকার আজিনুর ইসলাম বলেন, পাট কাঠি ও পাটের দাম ভালো থাকায় পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় চলতি বছরে পাট চাষ ভালো হয়েছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সদরে পাটের আবাদ তুলনামূলকভাবে বেড়ে গেছে। পাটের দাম ভালো থাকায় আগামীতে আরও এই আবাদ বাড়বে। চলতি বছরে সদরে ২২০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাট চাষে যেমন অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে, তেমনি জমিতে জৈব সারের ভূমিকা অপরিসীম।
Comments