৮০ শিক্ষার্থীকে বড় ধরনের শাস্তি দিলো কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

গাজা উপত্যকায় চালানো ইসরায়েলের নজিরবিহীন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় প্রায় ৮০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের বহিষ্কার ও ডিগ্রি প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ধরনের সাজা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) শিক্ষার্থীদের সংগঠন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাপারথিড ডাইভেস্ট (সিইউএডি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির সব ধরনের আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়ে আসছে এই সংগঠনটি।
এছাড়া কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা ২০২৫ সালের মে মাসে বাটলার লাইব্রেরিতে বিশৃঙ্খলা ও ২০২৪ সালের বসন্তে 'অ্যালামনাই উইকেন্ড'-এ তাঁবু স্থাপন করে ক্যাম্পাসে অবস্থানের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
শিক্ষাগত কার্যক্রমে বিঘ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি ও নিয়মের লঙ্ঘন এবং এই ধরনের লঙ্ঘনের কারণে অবশ্যই পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
তবে সিইউএডি বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যে শাস্তি দিয়েছে, তা আগের যে কোনো শিক্ষা কর্মসূচি বা ফিলিস্তিন ছাড়া অন্য কোনো ইস্যুতে ভবন দখলের ঘটনার শাস্তিকে ছাড়িয়ে গেছে। সংগঠনটি ঘোষণা দিয়েছে, 'আমাদের থামানো যাবে না। আমরা ফিলিস্তিনি মুক্তির সংগ্রামে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
২০২৪ সালে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের নিরলস যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে বেশ প্রভাব রেখেছিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিপন্থি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। পরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নিউ ইয়র্ক সিটির শত শত পুলিশকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দিলে, বিক্ষোভস্থলগুলো ভেঙে ফেলা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় কয়েক ডজন শিক্ষার্থীকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠোর দমন-পীড়ন সত্ত্বেও, বিক্ষোভকারীরা এই বছরের মে মাসে চূড়ান্ত পরীক্ষার সময় বাটলার লাইব্রেরি দখল করে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে এবং গাজার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার অংশ হিসেবে এমন কাজ করে তারা।
সূত্র: আল জাজিরা
Comments