জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে সারজিস আলম

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে সমাবেশে যোগ দেন তিনি। এনসিপির এই নেতাকে মূল মঞ্চে জামায়াতের নেতাদের পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে। এনসিপি ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সমাবেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
এর আগে দুপুর ২টা ৪ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়। আর সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেয়াসহ সাত দফা দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের মূল পর্ব শুরু হয়।
এদিকে, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। উদ্যানে প্রবেশের সময় রাস্তার দুপাশে নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে স্লোগান দেন। আপ্লুত আমির হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
অন্যদিকে, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে জাতীয় সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এছাড়া দলের শীর্ষ নেতারাও সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন। দুপুর ২টার দিকে আমিরে জামায়াতের সভাপতিত্বে শুরু হয় মহাসমাবেশ।
সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা দুপুরে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভোর থেকে দলে দলে সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। গতকাল শুক্রবার রাতেও অনেক নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হন।
সকালেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। উদ্যানের বাইরেও অবস্থান করছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। এছাড়া রমনা পার্কেও অবস্থান নিয়েছেন অনেক নেতাকর্মী।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে আসা নেতাকর্মীরা রাজধানীতে এসে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসছেন। নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে তাদের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা শোভা পাচ্ছে। দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সংবলিত টি-শার্ট, পাঞ্জাবি পরে এসেছেন বহু নেতাকর্মী।
৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, 'জুলাই সনদ' ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
Comments