এয়ার ফ্রায়ার ক্ষতিকর না স্বাস্থ্যকর?

নারীরা সবার আগে তাদের ঘর পছন্দমত সাজাতে পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে বাদ যায় না রান্নাঘরও। এখানে প্রয়োজনীয় সবই রাখেন তারা। রান্না ভালো ও মজাদার করতে বিভিন্ন ধরনের জিনিস ব্যবহার করেন। তবে তাই বলে স্বাস্থ্যের বিষয়টি কিন্তু ভুলে যান না। এ কারণে অনেকেই রান্নাঘরে এয়ার ফ্রায়ার রাখেন।
এয়ার ফ্রায়ার হচ্ছে একটি ছোট ওভেন। যা গরম বাতাস ব্যবহার করে খাবার ভেজে থাকে। ঐতিহ্যবাহী ডিপ ফ্রায়ারের একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। কেননা, এতে খুব কম তেল বা তেল ছাড়াই খাবার প্রস্তুত করা যায়। ফ্যানের মাধ্যমে গরম বাতাস সঞ্চালন করে খাবার দারুণ মচমচে করে এয়ার ফ্রায়ার।
আধুনিক লাইফস্টাইলে এয়ার ফ্রায়ারের ব্যবহার ক্রমশ বেড়ে চলছে। যদিও অনেক আগে থেকেই এটি বাজারে পাওয়া যায়। এটি বাড়িতে থাকলেও কেউ কেউ ব্যবহার করেন, আবার কেউ ঝামেলা মনে করেন। তবে দ্বিধা হচ্ছে, এয়ার ফ্রায়ারকে কেউ স্বাস্থ্যকর বিকল্প মনে করেন, আবার কেউ ক্ষতিকর মনে করেন। এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ অমিতা গাদ্রে।
এ পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, এয়ার ফ্রায়ার তেল কমাতে ও খাবার থেকে চর্বি কমাতে সহায়ক, যা প্রমাণিত। এটি তেলে না ভিজিয়ে খাবার রোস্ট, বেক, টোস্ট এমনকি গ্রিল করা যায়। অনেকেই আবার এয়ার ফায়ার লেপ নিয়ে চন্তিত। তাদের কারও মতে, এর অ্যাক্রিলামাইডের লেপ ক্যানসার বা কার্সিনোজেন সৃষ্টি করতে পারে- যা একদমই সঠিক নয়।
পুষ্টিবিদ অমিতা বলেন, এয়ার ফ্রায়ার এক ধনের ছোট ওভেনের মতো এবং একইভাবে ব্যবহার করা যায়। বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই এটি মুরগি ও সবজি গ্রিল করার জন্য ব্যবহার করেন।
এয়ার ফ্রায়ারের বিকল্প:
এয়ার ফ্রায়ার না থাকা স্বাভাবিক। তবে সুবিধার কথা ভেবে কেনার জন্য তড়িঘড়ির প্রয়োজন নেই। বরং কম তেলে ট্রিপলি কোটেড স্টেইলনলেস স্টিলও ব্যবহার করতে পারেন। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার বাড়িতে এয়ার ফ্রায়ার থাকলে কোনো গুজব শুনে সেটি ব্যবহার করা হয়তো বন্ধ করে দেবেন। এ ক্ষেত্রে বিষয়গুলো উপেক্ষা করে ব্যবহার করতে পারেন।
Comments