পিআর পদ্ধতি এখন গ্রহণযোগ্য নয়, বড় ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হবে: এ্যানি

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে পিআর (প্রো-পোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালু করা হলে দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের বিভেদ ও বিভাজন সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে এক আলোচনায় তিনি বলেন, "আজকে কেউ কেউ যেটা বলছে পিআর পদ্ধতি, সেটা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট অবস্থান দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেকোনো মতবাদ যখন কোনো একটি বা দুটি দলের পক্ষে যায় কিংবা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়, তখন তা গণতান্ত্রিক সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।"
এ্যানি বলেন, "গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন থেকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে দিতে পিআর পদ্ধতির মতো বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। জনগণ এসব ফাঁদে পা দেবে না।"
তিনি আরও বলেন, "পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ, বিশেষ করে ইউরোপের কিছু দেশে পিআর পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায়, এই মুহূর্তে যদি পিআর পদ্ধতি চালু করা হয়, তাহলে দেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে বড় ধরনের বিভেদ ও বিভাজন সৃষ্টি হবে। এতে করে ফ্যাসিস্ট শক্তি সুযোগ নিয়ে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠবে।"
আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, "যারা দেশকে ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে জিম্মি করে রেখেছিল, বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, তাদের কোনোভাবেই সুযোগ দেওয়া যায় না। তাদের বিচার নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।"
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক এম বেলাল হোসেন, সদস্য সচিব মো. আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম ইউসুফ ভূঁইয়া, সোহেল মাহমুদ, শরীফ উদ্দিন পাটওয়ারী, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবদুল আলিম হুমায়ুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল প্রমুখ।
Comments