চুয়াডাঙ্গায় তুলা ফসলের আবাদ বাড়াতে ৫৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে প্রণোদনার উপকরণ বিতরণ

চুয়াডাঙ্গায় তুলা ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার উপকরণ বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
বুধবার (২ জুলাই) বেলা ১১টায় সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিট কার্যালয় চত্বরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেন দেবাশীষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রণোদনার উপকরণ বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল নাঈম, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দায়িত্ব প্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম, আলুকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আল বেলাল, আলুকদিয়া ইউনিট তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা আতিকুর রহমান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খুশবু।
অনুষ্ঠানে ৫৫০ জন তুলা চাষীকে হাইব্রিড তুলা বীজ ৬০০ গ্রাম, ইউরিয়া ২৫ কেজি, টিএসপি ৫০ কেজি, পটাশ ৫০ কেজি, বোরন ২ কেজি, ডাইফেনথউরোন ২০০ মিলি লিটার, স্পিনোসেড ১০০ মিলি লিটার, ছত্রাকনাশক ১৫০ মিলি লিটার ও পিজিআর ৩০০ মিলি লিটার দেয়া হয়। যার মূল্য ৮ হাজার টাকা।
বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, 'তুলা চাষ একটি লাভনজনক চাষ। এই চাষটি লাভজনক ও কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক ভুমিকা রাখতে হবে। দেশে যে পরিমান তুলা উৎপাদন হয় তা ৩ শতাংশ চাহিদা মেটে। বাকী তুলা বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। যার ফলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। তুলা আমদানী নির্ভরতা কমাতে হলে এ চাষের সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে। বর্তমানে তুলা ফসলের সঙ্গে সাথী ফসল চাষ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছে। পরিকল্পিত উপায়ে তুলা চাষ লাভবান করার জন্য কৃষকদের আরো উদ্বুদ্ধ করতে হবে'।
বিতরণ অনুষ্ঠানে ৫৫০ জন তুলা চাষী উপস্থিত ছিলেন।
Comments