নিহত সাংসদের প্রভাবে অধিগ্রহণ ছাড়াই সরকারি অফিস নির্মাণের অভিযোগ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক সাব-রেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে নিহত সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের প্রভাব ও ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তোলেন উপজেলার ফরাশপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে তাদের ১২৪ শতক জমি রয়েছে, যার মালিক ১৭ জন ওয়ারিশ। দীর্ঘদিন ধরে তারা সেই জমি ভোগদখল করে আসছেন।
নজরুল ইসলাম জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণের জন্য গোপনে ২৪ শতক জমি অধিগ্রহণ দেখানো হয়। মালিকদের কোনো প্রকার অবগত না করেই অধিগ্রহণ করা হয় এবং পরবর্তীতে টাকা গ্রহণের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। তারা বিষয়টি জানতে চাইলে তৎকালীন জেলা প্রশাসক কোনো সন্তোষজনক উত্তর না দিয়ে শুধু টাকা নিতে বলেন।
জমির মালিকগণ টাকা গ্রহণ না করে আদালতের শরণাপন্ন হন। মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যেই সংশ্লিষ্ট জমিতে থাকা মার্কেট ভেঙে দিয়ে সেখানে সরকারি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নির্মাণকাজ চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, নিহত সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার এবং দলিল লেখক নাসির উদ্দীন জোরপূর্বক মার্কেট ভেঙে দেন। একই সঙ্গে আরও উল্লেখ করা হয়, উক্ত জমির মধ্যে থেকে ১০ শতক ইতোমধ্যে সড়ক বিভাগ অধিগ্রহণ করেছে ছয় লেন সড়ক প্রকল্পের জন্য। ফলে একই দাগের জমি থেকে আবারও অধিগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে আইনবিরোধী ও মালিকদের প্রতি অন্যায় আচরণ।
নজরুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, ২৪ শতক দেখিয়ে ৩৩ শতক জমি দখল করে নেয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এছাড়া গত ৫ আগস্টের পর থেকে সংশ্লিষ্ট ভবনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা গেজেট প্রকাশের আগ পর্যন্ত জমির ওপর কোনো সরকারি স্থাপনা ব্যবহার না করার দাবি জানান এবং আইনের প্রতি সম্মান রেখে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
Comments