ব্রাজিল পরবর্তী ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী

ব্রাজিলিয়ান দলগুলোর ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপে দাপুটে পারফরম্যান্সে যখন ফুটবলবিশ্ব তাক লাগিয়ে দিয়েছে, তখনই বড় ঘোষণা দিলেন ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি সামির শাউদ। আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার সভাপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি জানালেন—ব্রাজিল আয়োজন করতে চায় পরবর্তী ক্লাব বিশ্বকাপ। আর সেই সম্ভাবনাকে 'সম্পূর্ণ বাস্তব' বলেই মনে করছেন শাউদ।
ফিফার এক্সিকিউটিভ ফুটবল সামিটে অংশ নিয়ে জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সামির শাউদ। তার হাতে তুলে দেন ব্রাজিলের জাতীয় দলের একটি জার্সিও। সেই সভার পরই সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন:
'একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ দিয়ে শুরু হয়েছিল আলোচনা। আমি বলেছিলাম, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার লক্ষ্য কী এবং আমরা ফিফার আরও কাছে যেতে চাই। আমি টুর্নামেন্টের প্রশংসা করি, ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর মান তুলে ধরি এবং শেষে বলি—আমরা পরবর্তী ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাই। প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনো বিষয়টি শুনে খুব খুশি হন এবং বলেন, এটা সম্পূর্ণ বাস্তবসম্মত।'
এই বছরের ক্লাব বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ইউরোপের দুই বড় ক্লাব পিএসজি ও চেলসিকে হারিয়ে নজর কেড়েছে ব্রাজিলের বোটাফোগো ও ফ্ল্যামেঙ্গো। বোটাফোগো ১-০ গোলে হারিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে। অন্যদিকে, ফ্ল্যামেঙ্গো কনফারেন্স লিগজয়ী চেলসিকে হারিয়েছে ৩-১ ব্যবধানে।
এই জয়ে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল আরও একবার প্রমাণ করেছে, তারা এখনো ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের টক্কর দিতে প্রস্তুত। আর এমন সফলতায় আরও জোরালো হলো ব্রাজিলের আয়োজক হওয়ার আবেদন।
ব্রাজিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, তারা ২০২৯ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায়। আয়োজক হওয়ার দৌড়ে থাকা অন্যান্য দেশের তুলনায় ব্রাজিলের একটি বড় সুবিধা হলো—দেশটির ফুটবল ঐতিহ্য ও ক্লাব সংস্কৃতি। বহুবার বিশ্বকাপ আয়োজনের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাদের।
পিএসজি ও চেলসির বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর জয়, ফিফার সামিটে আয়োজক দেশ নিয়ে এমন আলোচনা—সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, ক্লাব বিশ্বকাপ সত্যিকারের 'বিশ্বব্যাপী' প্রতিযোগিতা হয়ে উঠছে। আর সেখানে ব্রাজিল শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই নয়, আয়োজক হিসেবেও নেতৃত্ব দিতে চায়।
Comments