ঈদ উপলক্ষে বরিশালে বসেছে স্থায়ী এবং অস্থায়ী পশুর হাট

পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে বরিশালে বসছে স্থায়ী এবং অস্থায়ী পশুর হাট। বরিশাল জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার মহানগরীসহ বরিশাল জেলায় কোরবানি উপলক্ষে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ৭৯টি পশুর হাট। যার মধ্যে বরিশাল সিটিতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ৩টি অস্থায়ী পশুর হাট। তবে স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে এবার পশুর হাট বসবে ৯৩টি। পুরো বিভাগের ছয় জেলায় পশুর হাট বসছে ৩২৮টি।
হাটগুলোতে কোরবানি যোগ্য এবং মানসম্মত পশু বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিভাগের ছয় জেলায় মোট ১৩৬টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র বরিশাল জেলায় ৩১টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। দুটি হাটের জন্য একটি করে টিম কাজ শুরু করেছে। এছাড়া সিটি এলাকার স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে চারটি হাটে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
তাছাড়া পশু বিক্রেতা, ক্রেতাদের নিরাপত্তা, মহাসড়কে চাঁদাবাজি রোধসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে মেট্রোপলিটন এবং জেলা পুলিশ। পাশাপাশি বরিশাল বিভাগজুড়েই নিরাপত্তা জোরদারের টহল ও চেকপোস্ট বসিয়েছে র্যাব -৮।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের হাট-বাজার শাখার তথ্য অনুযায়ী এবার কোরবানি উপলক্ষে তিনটি অস্থায়ী এবং একটি স্থায়ী হাট বসবে বরিশাল সিটি এলাকায়। এর মধ্যে রূপাতলী এবং কালিজিরা বাজার এলাকায় দুটি, কাগাশুরায় ১টি অস্থায়ী এবং বাঘিয়া এলাকায় একটি স্থায়ী হাট বসছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবারের মধ্যেই হাটগুলো পশুতে পরিপূর্ণ হবে বলে আশাবাদী হাট সংশ্লিষ্টরা।
বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বছরে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৬১১টি। বিভাগের ২৬ হাজার ৫৭৮ জন খামারি ও কৃষকদের কাছে মজুত রয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৪ টি। এর মধ্যে বিভাগের ২ লাখ ১০ হাজার ৬৪টি, ৬৭ হাজার ৬৬৪টি বলদ, ৩৮ হাজার ৩১৭টি গাভি, ১ লাখ ১০ হাজার ৪৯টি ছাগল, ১২ হাজার ৩৫টি ভেড়া এবং অন্যান্য ৫৫টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এতে করে চাহিদা মেটানোর পরেও উদ্বৃত্ত থাকবে ১৬ হাজার ৮৪৩টি পশু।
তিনি আরও বলেন, কোরবানির কয়েকদিন বাকি থাকলেও হাটগুলো বেচা কেনা শুরু হয়েছে। আমরা কোরবানির হাটগুলোতে সুস্থ, রুষ্টপুষ্ট এবং কোরবানি যোগ্য পশু নিশ্চিত করার জন্য ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। টিমগুলো ঘুরে ঘুরে হাটগুলোতে দায়িত্ব পালন করবে।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলার স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক লুচিকান্ত হাজং জানিয়েছেন, এবার গোটা বিভাগজুড়েই পশুর হাট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। হাটগুলো পশু, ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে জেলা এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রতিটি হাটেই পুলিশের কন্ট্রল রুম খোলা হয়েছে।
Comments