নিজে বাঁচার জন্য কাছে অস্ত্র রাখি: সুব্রত বাইন

শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় থাকা সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীকে (৬১) গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের একটি মামলায় রিমান্ড আবেদনের জন্য আদালতে হাজির করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাঁচার জন্য কাছে অস্ত্র রাখি।
বুধবার (২৮ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক আসার আগে কাটগাড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সুব্রত বাইন বলেন, আমি পাওয়ারকে সিজদা করি (উপরের দিকে আঙুল ইশারা করে)। আমার যদি টাকা থাকতো আমি নিজেই পত্রিকা খুলতাম। আপনারা হলুদ সাংবাদিক হইয়েন না। যেটা সত্য, তদন্ত করে আপনারা সেটাই লেখেন। সত্য কথা লিখবেন। ১৯৮৯ সাল থেকে আমার বিরুদ্ধে লিখতেছে। আমার নাম বিক্রি করে যারা চাঁদাবাজি করেন, তাদের আপনারা ধরতে পারেন না? নিজে বাঁচার জন্য আমি কাছে অস্ত্র রাখি। কেউ যদি বলে রাখি না, তাহলে সেটা মিথ্যা হবে।
সুব্রত বাইন ছাড়াও তার তিন সহযোগীকেও আদালতে হাজি করা হয়। এরপর আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়াদ আহমেদ। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত সুব্রত বাইনের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া অন্য তিনজনের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রিমান্ড চাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৩), এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)।
আসামি সুব্রত বাইনের আইনজীবী বলেন, মিডিয়া তাকে সৃষ্টি করেছে। শত্রুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ লিস্ট তৈরি করা হয়। এরপর ২০২৫ পর্যন্ত আর কোনো লিস্ট কিন্তু তৈরি হয়নি। তিনি তিনবার গ্রেপ্তার হন মিডিয়ার কারণে। তিনিও আয়নাঘরে ছিলেন। গ্রেপ্তার চারজনের কাছ থেকে একটা মোবাইল ফোনও জব্দ হয়নি। কারাগারে তাকে (সুব্রত) যেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে গত মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেপ্তার হন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি, অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রয়েছে। পরে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একইদিন বিকেলে এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Comments