বড়াইগ্রামে বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে পিস্তল নিয়ে ধাওয়া; নিরাপত্তা দাবি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সদস্য সচিব ও জোয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আকবর (৭০)কে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি'র অপর একটি পক্ষ পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে রোববার রাত ১০টার দিকে থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরী করেছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান এবং রাত সাড়ে ১১টায় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ও জীবনের নিরাপত্তা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জোয়াড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর তার বক্তব্যে বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন করার লক্ষ্যে সোমবার বিকেলে জোয়াড়ি ইউপি প্রাঙ্গণে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষ করে সেখান থেকে রামাগাড়ী নিজ বাড়ির দিকে প্রাইভেটকার যোগে রওনা দিলে পেছন দিক থেকে ৪/৫টি মোটরসাইকেলযোগে পিস্তল তাক করে ধাওয়া করে বিএনপি'র অপরপক্ষের লোকজন।
এ সময় তাদের কাছে আরও দেশীয় অস্ত্র ছিলো। হামলা থেকে বাঁচতে চালক দ্রুত লোকালয়ের মধ্যে নিয়ে যায় প্রাইভেটকারটি। পরে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। এ ঘটনায় তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন এবং যে কোন সময় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হতে পারেন বলে আশংকা করছেন। জীবনের নিরাপত্তা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সাধারণ ডায়েরীতে উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন, নাটোরের দত্তপাড়ার যুবদল নেতা জুয়েল (৩৫) ও রাজীব (৩২), বড়াইগ্রাম পৌর যুবদল সভাপতি আব্দুল খালেক (৩৩), কায়েমকোলার যুবদল নেতা আরিফ (৪৫), জোয়াড়ি ইউপি যুবদলের সভাপতি হুমায়ুন কবীর রান্টু (৪০), ছাত্র দলের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম (৩৫), জোয়াড়ি ইউপি ছাত্রদল সভাপতি রাকিব (৩৫), কায়েমকোলার যুবদল নেতা ইকবাল (৩২), গাফফার (৩২) এবং অজ্ঞাত ১০/১২ জন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান বেলাল ও সাবেক সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম মাস্টার, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম, উপজেলা কৃষক সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান ও যুগ্ম আহ্বায়ক সোহানুর রহমান মাস্টার, জোয়াড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান সহ বিভিন্ন নেতা-কর্মীবৃন্দ।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, সাধারণ ডায়েরীতে লেখা অভিযোগ ও বিবরণ তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Comments