আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন দুঃসংবাদ

মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল তাদের আসন্ন শরৎকালীন আইফোন লাইনআপের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে। সোমবার (১২ মে) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
তবে এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর করা শুল্কের সঙ্গে সরাসরি না জড়ায়, সেজন্য প্রতিষ্ঠানটি সতর্ক রয়েছে।
সোমবার মার্কিন ও চীনা সরকার পারস্পরিক শুল্ক সাময়িকভাবে কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর অ্যাপলের শেয়ারমূল্য প্রাক-বাজার লেনদেনে ৭ শতাংশ বেড়ে যায়। তবে চীনা আমদানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রে এখনো ৩০ শতাংশ শুল্ক বহাল রয়েছে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে অ্যাপল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর একটি, কারণ তাদের অধিকাংশ পণ্যই চীনে তৈরি হয়। এই পরিস্থিতি অ্যাপলকে ভারতে উৎপাদন বাড়াতে বাধ্য করেছে।
অ্যাপল জানিয়েছে, এপ্রিলে শুরু হয়ে জুনে শেষ হওয়া প্রান্তিকে শুল্কজনিত কারণে তাদের অতিরিক্ত খরচ দাঁড়াবে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার। তাই তারা চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রিত অধিকাংশ আইফোন ভারতে তৈরি করে সরবরাহ করতে।
বিশ্লেষকরা কয়েক মাস ধরেই মনে করছেন, অ্যাপল তাদের পণ্যের দাম বাড়াতে পারে। তবে তারা সতর্ক করেছেন, এই পদক্ষেপ বাজারে অ্যাপলের শেয়ার হারানোর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যখন স্যামসাং এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বীরা উন্নত এআই ফিচার দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৬ এর সর্বনিম্ন মডেলের মূল্য ৭৯৯ ডলার, কিন্তু শুল্ক যুক্ত হলে সেটি বাড়তে পারে ১,১৪২ ডলার পর্যন্ত যা ৪৩ শতাংশ দাম বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি করে, বলে জানিয়েছে রোজেনব্লাট সিকিউরিটিজ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অ্যাপল সম্ভাব্য মূল্যবৃদ্ধিকে ন্যায্যতা দিতে নতুন ফিচার ও ডিজাইন পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে অতিস্লিম ডিজাইন।
এদিকে গত মাসে আমাজনের 'হল' ইউনিট আমদানি খরচ তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করলে, ট্রাম্প প্রশাসন সেটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেয়।
Comments