পোপের মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃতুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইসরাইল, নেদারল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ভ্যাটিকান জানিয়েছে, ৮৮ বছর বয়সি পোপ ফ্রান্সিস ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্টায় নিজ বাসভবনে মারা গেছেন।
পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট পদত্যাগ করার পর ২০১৩ সালের মার্চে কার্ডিনাল জর্জ মারিও বার্গোগ্লিও ক্যাথলিক চার্চের নেতৃত্বের জন্য নির্বাচিত হন।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু শোক প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এক বিবৃতিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট পোপ ফ্রান্সিসের প্রশংসা করে বলেন, তিনি সবচেয়ে দুর্বল ও নিম্ন শ্রেণির মানুষদের পাশে ছিলেন।
শোক জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ। তিনি বলেন, পোপ ফ্রান্সিস সর্বোপুরি সব জনগণের মানুষ ছিলেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি রবার্টা মেটসোলা এক বিবৃতিতে বলেছেন, পোপ ফ্রান্সিসে বিশ্বের লাখো মানুষের হৃদয় জয় করেছিল।
ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ এক বিবৃতিতে পোপের অসাধারণ উদারতার প্রশংসা করেছেন। তিনি আরও বলেন, পোপের প্রার্থনা অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যে শিগগিরই শান্তি আসবে এবং গাজায় আটক জিম্মিরা নিরাপদ দেশে ফিরতে পারবেন।
পোপের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ইরানও। বিশ্বের সব খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের প্রতি শোক জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরান ভ্যাটিকানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
পোপের মৃত্যেতে সুইজাল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট কারিন কেলার-সাটার বলেছেন, পোপ ফ্রান্সিস একজন 'মহান আধ্যাত্মিক নেতা, শান্তির জন্য একজন অক্লান্ত প্রবক্তা' ছিলেন।
এদিকে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১২ বছর ধরে পোপ পদে থাকার পর মারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস। বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন, রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান নেতা পোপ ফ্রান্সিস। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। ফ্রান্সিস, অনেক দিন ধরে ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন এবং যুবক বয়সে তার একটি ফুসফুসের অংশবিশেষ কেটে ফেলা হয়েছিল।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় জেমেলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পোপকে। যা ডাবল নিউমোনিয়ায় পরিণত হয়। তিনি সেখানে ৩৮ দিন কাটিয়েছিলেন।
Comments