শর্ত শেষ হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ

শর্ত অনুযায়ী ভারত থেকে চাল আমদানিতে সময় সীমা শেষ হওয়ায় বন্ধ রয়েছে চাল আমদানি। বানিজ্য মন্ত্রনালয় গত বছরের ১৭ নভেম্বর ৯২ জন আমদানিকারককে দুই লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ এবং এক লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল চাল আমদানির শেষ সময় ছিল।
সর্বশেষ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়। এ নিয়ে গত ৫ মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২১ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। প্রথমে সরকার ঘোষিত মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ২২ ডিসেম্বর। আশানুরূপ চাল আমদানি না হওয়ায় পর পর ৪ দফা সময় বাড়ায় সরকার। যার সর্বশেষ মেয়াদ গতকাল মঙ্গলবার ছিল।
বেনাপোল আমদানি রফতানি সমিতির সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি শেষ করতে ১৫ দিন সময় বৃদ্ধির আবেদন করলেও তার কোনো জবাব সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আসেনি। এর মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় আমদানি। এতে ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও ক্ষতির মুখে পড়বেন।

কাস্টমস সুত্র জানায়, মোটা চাল প্রতি মেট্রিক টন ৩৯০ থেকে ৪০০ মার্কিন ডলার মুল্যে আমদানি হচ্ছিল, চিকন চাল প্রতি মেট্রিক টন ৪৫০ থেকে ৪৭০ ডলার । কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় এ চাল খালাস দেয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আর চাল আমদানি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা।
চাল আমদানিকারক আব্দুস ছামাদ জানান, অনেকের এখনও কয়েক হাজার মেট্রিক টন চাল দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানিকৃত মোটা চাল প্রতি কেজি ৫৩ টাকা, চিকন চাল ৬৫-৭২ টাকা দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ অফিসের উপ সহকারি শ্যামল কুমার নাথ জানান, চাল আমদানির বর্ধিত চতুর্থ ধাপের সর্বশেষ সময় ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। গত ৫ মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২১ হাজার ৩৬০ মেট্রিক চাল আমদানি হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক উপসচিব শামীম হোসেন রেজা জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মঙ্গলবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অনান্য পণ্যের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষকরা চার কোটি ছয় লাখ টন চাল পেয়েছেন। আগের অর্থবছরের তুলনায় চার দশমিক এক শতাংশ বেশি।
চালের চাহিদা আরো বেশি বিবেচনায় নিয়ে মাথাপিছু দৈনিক আধা কেজি বা বার্ষিক জনপ্রতি ১৮২.৫০ কেজি হিসেবে চালের চাহিদা দাঁড়ায় ৩ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। বীজ, অপচয় ও পশুখাদ্য হিসেবে আরো ১৫ শতাংশ যোগ করা হলে মোট চাহিদা দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন।
Comments